পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ RNෂළු কি হলোরে জান, পলাশী ময়দানে উড়ে কোম্পানি নিশান । ফুলবাগে ম’ল নবাব খোসবাগে মাটী, চাদোয় টাঙ্গায়ে র্কাদে মোহনলালের বেটী । কি হলোরে জান, পলাশী ময়দানে উড়ে কোম্পানি নিশান । ” এরূপ কথিত হয়, যে সিরাজ মহিষী লুৎফউন্নেসা মোহনলালের ভগিনী ছিলেন। বেভারিজ সাহেবেরও এই মত। গ্রাম্য কবি ভগিনীকে বেটী করিয়াছেন। অপর মতে লুৎফউন্নেসা আলিবর্দী-পরিবারে ক্রীতদাসী ছিলেন। পলাশীর যুদ্ধ অবলম্বনে রচিত কবিবর নবীন চন্দ্র সেনের “পলাশীর যুদ্ধ" নামক কাব্য শিক্ষিত বাঙ্গালী মাত্রেরক্ট পরিচিত । পলাশীর স্টেশনের নিকটে একটি প্রকাণ্ড চিনির কারখানা স্থাপিত হইয়াছে । বেলডাঙ্গা কলিকাতা হইতে ১০৫ মাইল দর। ইহা মুর্শিদাবাদ জেলার একটি প্রসিদ্ধ গ্রাম। এখানেও একটি চিনির কারখানা আছে । - বহরমপুর কোর্ট-কলিকাতা হইতে ১১৬ মাইল দূর । মীর কাসিমের পতনের পরে ঈস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি যখন বাংলার নবাবের সৈন্য-সামন্ত কাড়িয়া লইলেন তখন ইষ্টতে বহরমপুরের উৎপত্তি। নবাবকে আজ্ঞাধীন রাখিবার জন্য রাজধানী মুর্শিদ াবাদের নিকট ইংরেজ সৈন্য রাখিবার প্রয়োজন বোধে ঈস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক প্রথম এই স্থানে সেনানিবাস তৈয়ারী হয়। বহরমপুর নামের উৎপত্তি হইয়াছে ব্রহ্মপুর হইতে ; এখানকার আদি মৌজা বা গ্রামের নাম ব্রহ্মপুর। ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দে বহরমপুরে গোরাবারিক বা ক্যান্টনমেন্ট নিৰ্ম্মাণ শেষ হয়। মুর্শিদাবাদের নবাব নাজিমের অবস্থা হীন হইয়া আসিলে সৈন্ত সংখ্যা কমাইয়া দেওয়া হয় এবং ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে এখানকার সেনানিবাস উঠিয়া যায় । ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে এখানে মাত্র একটি দেশীয় সেনাদল ছিল। সিপাহী বিদ্রোহের সময় বহরমপুরেই সৰ্ব্বাগ্রে বিদ্রোহ বহ্নি জ্বলিয়া উঠে। মীরাট ও দিল্লীর পূর্বে বহরমপুরের সিপাহীর বিদ্রোহী হইয়াছিল। কিন্তু প্রারম্ভেই তাহাদের অস্ত্র কাড়িয়া লওয়া হয় বলিয়া এখানে কিছু হাঙ্গামা হয় নাই । সিপাহী বিদ্রোহের পর পুনরায় এখানে ইংরেজ সেনাদল রাখা হয়। স্থানীয় দ্বিতল ও একতল প্রকাণ্ড প্রকাও শূন্য সেনানিবাস এখন কাছারী এবং সরকারী কৰ্ম্মচারীদের বাসস্থান হইয়াছে। বহরমপুরের দক্ষিণদিকে গঙ্গাতীরে অনেকদিন পর্য্যন্ত গবৰ্ণর জেনারেলের প্রতিনিধি (Agent to the Governor General-qa) fệ e Ftztň fặn i arza Ezi zzztỆzaz atst ও সার্কিট হাউস রূপে ব্যবহৃত হইতেছে । এই বাটতে ক্লাইভ কিছু কাল বাস করিয়া ছিলেন বলিয়া কথিত । সেনানিবাসের প্রধান বাজার এখনও গোরাবাজার নামে প রচিত ।