পাতা:বাংলার গীতি কবিতা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাক্ত সাহিত্য ধারায়- রামপ্ৰসাদ S8 দিয়াছে—এবং জন্ম জন্মান্তরের যবনিকা অপসারিত হইয়া যাওয়ার পর রামপ্ৰসাদ বলিতেছেন “ইহ জন্ম পর জন্ম বহুজন্ম পরে রামপ্ৰসাদ বলে আমার জন্ম হবে না জঠরে” -যখন তিনি বলিতেছেন “সুম ছুটেছে আর কি ঘুমাই যুগে যুগে জেগে আছি”। সেই অবস্থায় কাব্যের রূপান্তরে যখন এক সৃষ্টির পর আর এক সৃষ্টি আসিয়া দেখা দিল তখনকার অবস্থায় বাহ্যিক পূজানুষ্ঠান ও তীর্থ পৰ্যটনাদির অনাবশ্যকতা সম্বন্ধে যে সমস্ত গান রচিত হইয়াছিল। সেই সমস্ত গানকে সাধক জীবন ও কলাবিদের জীবন হইতে ছিাড়িয়া আনিয়া রামমোহনের মূৰ্ত্তি বিদ্বেষী কতকগুলি গানের সহিত তুলনা করিয়া যে সাদৃশ্য দেখাইবার চেষ্টা তাহা তুলনামূলক বিচার পদ্ধতিকে অবমাননা ভিন্ন আর কিছুই নহে। তুলনীয় অসাড় না হইলে মাঝে মাঝে দূরাগত বংশীধ্বনি শুনিতে পায়, আর সেই বংশী রবে সে আর একটা রাজ্যে গিয়া উপনীত হয়। এই সব মুহূৰ্ত্তগুলি জীবনের “অনন্ত মুহুৰ্ত্ত।” এই মুহূৰ্ত্তেই আমরা প্ৰকৃত জীবনযাপন করি এবং আমাদের ও অপরের প্রতিদিনের জীবনযাপনের সাৰ্থকতা বুঝিতে পারি।” * *

  • * আমরা সকলেই সেই অন্ত প্ৰকৃতির-সেই প্ৰাণের খোজে ব্যস্ত হইয়া ঘুরিয়া বেড়াই। যাহাকে জীবনের ‘অনন্ত মুহূৰ্ত্ত” বলিলাম সেই অনন্ত মুহূৰ্ত্তে সেই প্ৰাণেরই সাক্ষাৎলাভ হয়। আর সেই মুহূৰ্ত্তেই আমাদের হৃদয় মন রসোচ্ছাসে অধীর হইয়া পড়ে। তখন কবিতার

সৃষ্টি হয় ।” (মুন্সিগঞ্জ অভিভাষণু ১৯১৪)