পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रदकडीटीद्र बकका byr) আমার বাবার বৃহৎ মণ্ডপে দেবী প্ৰতিমা নাই,-ভাবিতে আমার প্রাণ হু হু করিয়া কঁাদিতে লাগিল। দশমীতে নৌকা বাচ হওয়ার পরে দেবী প্ৰতিমা নদীর জলে বিসর্জিত হইত। যাহা দেখি তাহাতেই আমাদের বাড়ীর উৎসবের কথা মনে হইলে প্ৰাণ ফাটিয়া যাইতে লাগিল । আশ্বিন গেল, কাৰ্ত্তিক মাসে ঘরে ঘরে কাৰ্ত্তিক-পূজা । পুরুষ ও স্ত্রীলোকেরা সারারাত্ৰি জাগিয়া আমোদ-আহলাদ করিতে লাগিল- আমি আমার কক্ষের জানেলা খুলিয়া সেই উৎসব দেখিতাম ও চোখের জলে ভাসিতাম। অগ্রহায়ণে লক্ষ্মীপূজা-গৃহস্থ ধান মাথায় করিয়া সাজের বেলায় বাড়ী ফিরিত,-মেয়ের শঙ্খধ্বনি করিয়া হুলুধ্বনি-সহকারে প্রদীপ জ্বালাইয়া সেই নূতন ধান্য বরণ করিয়া লইত। ঘরে ঘরে দীপশিখা, নূতন ধান্য, কত আনন্দ ! নূতন ধানের নূতন অন্ন, নূতন চিড়া—তাহাতে পিঠা তৈরী হয়, পায়শ-পিষ্ঠক রাধিয়া সকলে নবান্ন-উৎসব করে, লক্ষ্মীকে নিবেদন করিয়া দেয় । আমার বাবা কোথায়, ভাই কোথায় ? উৎসবের দিনে তঁহাদিগকে বেশী করিয়া মনে পড়ে, প্ৰাণ ফুকারিয়া কঁাদিয়া উঠে। এই সময়ের আমার দুঃখের সাক্ষী স্বয়ং রাণীমাত । সেইদিন রাণীর মাথায় তৈল মাখাইয়া আমি কলসী কক্ষে জলের ঘাটে গিয়াছি, সেই শীতল জলে রাণীকে স্নান করাইব। পথে শুনিলাম, আবার বাদ্য ভাণ্ড বাজিতেছে, লোকে দেবীর মন্দিরের কাছে ছুটাছুটি করিতেছে, জিজ্ঞাসা করিলাম ‘আজ আবার কিসের উৎসব ?” লোকে বলিল, “তাও জান না! আজ নরবলি দিয়া রাজা রক্ষাকালীর পূজা করিবেন।” “কেবা নর কোথা হইতে আনিল ধরিয়া । नब्रदलि श्gद उनि श्नि नाश् श्ाि । লোকে করে বলাবলি পথে কানাকানি । বাপে ভাইয়ে দিবে বলি এই কথা শুনি ৷” আর ক্ষণমাত্রও পথে দেরি করিলাম না। অতি শীত্র বাড়ী ফিরিয়া সেই শীতল জলে রাণীকে স্নান করাইলাম । Q R