পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se- বাংলার পুরনারী চোখে ঘুম নাই। তারপর আশার আলো নিবু নিবু হইতে চলিল। দশমাসে আশার দশ কোঠায় শূন্য পড়িল। ক্রমে এক বছর অতীত হইল। কাঞ্চন কঁাদিয়া কাটিয়া তাহার ঘরের বাতি নিভাইয়া ফেলিল । ‘ब्रांख्tिड खांलाईग्रों वांडि कैंनिग्रा निडांईल ।” কাঞ্চন শোকে উন্মত্তা হইয়া নদীর তীরে ঘুরিয়া বেড়ায়, মনে মনে বলে, “হে নদী, তুমি কোন দূর দেশ হইতে আসিয়াছ, কোন দূর দেশে যাইবেজানি না। হয়ত তুমি যে দেশে কুমার গিয়াছেন, তাহার সন্ধান পাইবে,- অতি গোপনে তঁাহাকে আমার কথা বলিও, আমি যে কত দুঃখ পাইতেছি, उांश ऊँश्ांत कांge कां० दक्लि७ ॥” শত শত ডিঙ্গা নদী বহিয়া যায়,-তাহদের পাল হাওয়ার জোরে স্ফীত হইয়া নদীর ঢেউ কাটিয়া যায়। কাঞ্চন মনে ভাবেন, “এই সকল ডিঙ্গায় যে সব বণিক আছেন, তাহদের মধ্যে হয়ত কেহ রাজকুমারের সন্ধান জানেন। হয়ত আমার জন্য আমার বঁধু হীরামতির ফুল আনিবেন, আমি অতি দুঃখিনী, আমি কৃতজ্ঞতায় ও স্নেহে গলিয়া যাইব, প্ৰতিদানে র্তাহাকে কি দিব ? আমার আর কিছু নাই, এই দুঃখিনীর সম্বল দুটি চােখের জল-তােহাঁই মূল্য স্বরূপ দিব।” “আমার লাইগা আনবে বঁধু হীরা-মতির ফুল। দুই ফোটা চক্ষের জল দিব সে ফুলের মূল ॥” তসিলদার, তমসা গাজি রাজার তসিলদার সেই ধোপাকে ডাকাইয়া গোপনে কহিল, “তোমার বাড়ীতে একটি সুন্দরী মেয়ে আছে, আমি তাহাকে চাই। প্ৰতিদানে আমি তোমাকে নগদ পাঁচ শত টাকা ও ঘরবাড়ী জমি দিব। যদি তুমি সম্মত না হও, তবে তো তুমি আমার প্রতাপ ভালরূপই জান, এ অঞ্চল আমার ভয়ে কম্পমান। তোমার ঘরবাড়ী জ্বালাইয়া সর্বনাশ করিব।”