পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)e বাংলার পুরনারী একদিন তমসাগাজি কাঞ্চনকে বলিল :- “বাণিজ্যে যাইব লো কন্যা মোরে দেও কইয়া। कि फ्रिड ड्रॉनिक् ख्याभिषे ८डांभांद्र व्लां१ि ॥ তুমি তো ধৰ্ম্মের বি, আমরা বাপ মায়। না পাইয়া পাইয়াছি ধন খোদার দোয়ায় ॥” কাঞ্চন কি আনিতে বলিবে ? সে কঁাদিয়া আকুল হইল। সে যে রত্ন হারাইয়া পাগল হইয়াছে, তাহার কথা তো মুখ ফুটিয়া বলিতে পারে না । ঠিক তিন মাস তের দিন অতীত হইলে গাজি বাণিজ্য করিয়া বাড়ীতে ফিরিয়া আসিল । সে দেশ-বিদেশ হইতে নানান্দ্রব্য লইয়া আসিয়াছে ; কতকগুলি কৌটা ভরিয়া সে ঝিনুকের ফুল আনিয়াছে ; সমুদ্রের উপকূল হইতে সে কতকগুলি মতির মালা সংগ্ৰহ করিয়াছো-কাঞ্চন তাহা যদি পরে, তবে তাহার মূৰ্ত্তি দেখিয়া চক্ষু সার্থক করিবে। কাঞ্চনের জন্য অগ্নিপাটের শাড়ী আনিয়াছে—তাহার সুগৌর কান্তিতে সেই শাড়ী খুব মানানসই হইবে। তাহার কোমরে পরিবার জন্য ঘুঙ্গুর আনিয়াছে, নাকের “বলাক” (নােলক) পায়ের বাক-খাড় ও “বেকী” আনিয়াছে ; মধুর মাছি তাড়াইয়া রসপূর্ণ বড় বড় মৌচাক গাজি মেয়েকে খাওয়াইবার জন্য সংগ্ৰহ করিয়াছে। সে দেশের উপাদেয় খাদ্য শুটুকি মাছ বাদ পড়ে নাই, আট বঁাধিয়া প্রচুর পরিমাণে তাহা ও অন্যান্য বিবিধ দ্রব্য সে ডিঙ্গা ভৰ্ত্তি করিয়া বাড়ীতে লইয়া আসিয়াছে। গাজি কি কি দেশে গিয়াছে, কোথায় কোথায় গিয়াছে, বিস্তারিতভাবে তাহার স্ত্রীর নিকট বর্ণনা করিল ; এক দেশে সে দেখিয়াছে, কি চমৎকার উলু ছিণের ঘর, তাহাতে কত কারিগরী । আর এক জায়গায় দেখিয়াছে, সেখানে লম্বা লম্বা গাছ, তাহদের “মাথার উপর পানী” । সে দেশে পুরুষেরা রাধে বাড়ে এবং মেয়ের হাল বায়, হাট বাজারে অবাধে মেয়েরাই বিকি কিনি করে। কত নদীর তীরে মহিষের ‘বাথান দেখা গেল, ছড়াতে ( নিঝরে ) পড়িয়া হরিণগুলি জলপান করিতেছে :-