পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার পুরনারী ܛܦܠ পিতা বংশীদাসের উপযুক্ত কন্যা চন্দ্রাবতী এইভাবে আত্মহারা হইয়া শিব-ধ্যানে নিরতা হইলেন। তখন চক্ষুর জ্যোতি, কর্ণের শ্রুতি, মনের স্মৃতি যেন লোপ পাইল, চন্দ্ৰা বাহিরের জ্ঞান সমস্ত হারাইলেন । এমন এক সময়ে জয়চন্দ্ৰ পাগলের মত ছুটয়া ফুলেশ্বরী নদীর তীরে সেই শিব-মন্দিরের পাশে আসিয়া দরজায় ঘা মারিল । সেই দরজায় মাথা খুড়িয়া কোন উত্তর পাইল না। যোগাসনে আসীন চন্দ্ৰা তাহার উন্মত্ত আহবান শুনিতে পান নাই। কেহ সাড়া দিল না-কেহ দ্বার খুলিল না। জয়চন্দ্ৰ চিৎকার করিয়া বলিল :- “দ্বার খোল চন্দ্রাবতী দেখা দাও আমারে । পাগল হইয়া জয়চন্দ্ৰ ডাকে উচ্চৈঃস্বরে ॥ না। ছুইব না। ধরিব দূরে থাক্য খাড়া। ইহ জন্মের মত কন্যা দেও মোরে সাড়া | দেবী পূজার ফুল তুমি, তুমি গঙ্গার পানি। আমি যদি ছুই কন্যা হৈবা পাতাকিনী ॥” কিন্তু চন্দ্ৰা এই উচ্চৈঃস্বর শুনিতে পান নাই । “যোগাসনে আছে কন্যা সমাধি শয়নে । বাহিরের কথা কিছু নাহি পশে কানে ॥ नi cथigल भनिद्रद्ध छांद्र नाश् िकी कथां । মনেতে লাগিল যেন শক্তি-শেলের ব্যথা ॥” নিরাশ হইয়া জয়চন্দ্র উন্মত্তবৎ চারিদিকে দৃষ্টিক্ষেপ করিয়া দেখিতে পাইল, অদূরে সন্ধ্যা-মালতীর রক্তবর্ণ ফল অজস্ৰ ফুটিয়া আছে। সে তাহার কতকগুলি লইয়া আসিল এবং তাহা নিংড়াইয়া রস বাহির করিল, সেই রক্তাক্ষরে সে মন্দিরের কপাটে লিখিল : “শৈশব কালের সঙ্গী তুমি যৌবন কালের সাখী। অপরাধ ক্ষমা কর তুমি চন্দ্রাবতী ॥ পাপিষ্ঠ জানিয়া মোরে না হৈলা সম্মত । বিদায় মাগি চন্দ্রাবতী জনমের মত ॥**