পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जौवब-कथा S/o দীনেশ বাবুর গ্ৰন্থ প্ৰকাশিত হইবার পূর্বে শুধু কৃত্তিবাসের নাম লোকে জানিত। দীনেশ বাবু দ্বিজ মধু কণ্ঠ, রামানন্দ ঘোষ, চন্দ্রাবতী, ষষ্ঠবর, গঙ্গাদাস, রঘুনন্দন, অদ্ভুতাচাৰ্য্য, রামমোহন, কবিচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি প্ৰায় ২৫ জন লেখক-লেখিকার রচিত প্ৰাচীন রামায়ণের পরিচয় বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে প্ৰদান করেন। ইতিপূর্বে শুধু কাশীদাসের নামই মহাভারতের অনুবাদ-ক্ষেত্রে প্রচলিত ছিল। দীনেশ বাবু সঞ্জয়, পরাগলী মহাভারত, ছুটিখার মহাভারত ( অশ্বমেধ পর্ব ), নিত্যানন্দ ঘোষ, রামেশ্বর নন্দী, রাজেন্দ্ৰ দাস ও শিবরাম সেনের মহাভারত-প্ৰভৃতি ৩৪খানি প্ৰাচীন অনুবাদের বিবরণ র্তাহার গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন। দীনেশ বাবুর পুস্তকের পূর্বে শুধু কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসা দেবীর গানের কথা জানা ছিল, কিন্তু তঁহার গ্রন্থে হরিদত্ত, বিজয় গুপ্ত, বংশীদাস, নারায়ণ ও চন্দ্রাবতী, ষষ্ঠবর ও গঙ্গাদাসের মনসা মঙ্গল প্ৰভৃতি ১৫০টি মনসা দেবীর ভাসান গানের বিস্তারিত বিবরণ প্ৰকাশিত হয়। এক ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলের নাম জানা ছিল, কিন্তু “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে” কঙ্ক, কৃষ্ণরাম, রামপ্ৰসাদ প্রভৃতি বহু বিদ্যাসুন্দর-আখ্যানকারের পরিচয় আছে। আলাওয়ালের পদ্মাবতের নাম কেহই জানিত না, দীনেশ বাবুই সর্বপ্রথম র্তাহার পরিচয় প্ৰদান করেন। অপরাপর শত শত পুস্তকের কথা দীনেশ বাবুর “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” পাঠ করিলে জানা যায়। ইতিপূর্বে বাঙ্গলা সাহিত্যের ইতিহাস সম্বন্ধে তিনটি নিবন্ধ প্ৰকাশিত হইয়াছিল। প্রথমটি কয়েকখানি অল্পসংখ্যক পৃষ্ঠা মাত্র, ইহাতে কোন সংবাদই নাই বলিলে অত্যুক্তি হইবে না। দ্বিতীয় পুস্তক রামগতি ন্যায়রত্ন প্রণীত ইতিহাস। প্ৰাচীন সাহিত্য সম্বন্ধে তঁাহার দান অতি অল্প, সেকালে তাহার বেশী কিছু করার সুযোগও ছিল না। তিনি বাঙ্গলা পুথির কোন সন্ধানই রাখেন নাই,-ভারতচন্দ্রের সময় হইতে তিনি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করিয়াছেন। র্তাহার পূর্বে দুই তিনটি গ্রন্থকারের নাম ও অশুদ্ধ পরিচয় তাহার পুস্তকে পাওয়া যায়। কৃত্তিবাস যে সাপের ওঝা ছিলেন না, ব্ৰাহ্মণ ছিলেন, ইহা প্ৰমাণ করিতেই তিনি গলদঘৰ্ম্ম হইয়া পড়িয়াছিলেন। সম্প্রতি তঁহার