শিলা দেবী S80 বধু যদি হৈতা আমার পরণের নীলাম্বৱী। সৰ্ব্বাঙ্গ ঘুরিয়া পরিতাম নাহি দিতাম ছাড়ি ৷ বধু যদি হৈতা আমার মাথার দীঘল চুল। ভাল কইরা বাধ্যতাম খোপা দিয়া চম্পা ফুল ৷” এইরূপে সেই নবীনা রমণী রোজ রাত্ৰে কত কি চিন্তা করেন, কোন সময় তঁহার গণ্ড বাহিয়া অশ্রঞ্চ পড়ে। কোন সময় তিনি জয়ী হইয়া ফিরিবেন, এই আশায় পথের দিকে চাহিয়া থাকেন। মুণ্ড জঙ্গলী হাতীর মত দেখিতে ; সে একটা ভীষণ পালওয়ান। রাজকুমারের তীর খাইয়া সে চারিদিকে অন্ধকার দেখিল। কেবল শরীরের জোরে হয় না,-কুমারের শিক্ষিত হস্তের তীক্ষ্ম বান, তাহার নিক্ষেপের কায়দা-তীরন্দাজদের অবিরত আক্রমণ, মধুচক্রে ঢ়িল ছুড়িলে যেরূপ চারিদিকে দংশনের জ্বালা হয়—মুণ্ডা। সেইভাবে কাতর হইয়া পলাইবার পথ পাইল না । তাহার জঙ্গলী দল আগেই পলাইয়া গিয়াছিল, কতকক্ষণ সহ করিয়া মুণ্ডা। আর পারিল না,-কোন গোপনীয় জংলী পথ দিয়া সে নিবিড় ঘন পত্ৰশাখা-আচ্ছাদিত বনস্পতিদের মধ্যে অদৃশ্য হইয়া গেল। কুমারের জয়ডঙ্কা বাজিয়া উঠিল, বহু ক্রোশ দূর হইতে সেই ডঙ্কার শব্দ শোনা যাইতে লাগিল। রণজিয়ী কুমার গৃহে ফিরিতেছেন,-সেই শব্দ আকাশে উখিত হইয়া দেবতা দিগকে র্তাহার জয়বাৰ্ত্তা শুনাইয়া দিল,-দিক-দিগন্তে এই জয়-নিনাদ ঘোষিত হইল । 峰 অঞ্চল-শয্যা ছাড়িয়া বিরাহিণী শিলাদেবী ভগবানকে কৃতজ্ঞতা জানাই GGO বিবাহের উদ্যোগ বিবাহের বাদ্য বাজিয়া উঠিল। সখীরা চাপা ও বকুল ফুলের সাজি লইয়া বসিয়া কত ছন্দে মালা গাঁথিতে লাগিল। ডালে ডালে পাখীরা V&
