পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t Stres দুই, এক দিন পরে তিনি উঠিয়া বসিতে পারিলেন এবং মহুয়ার কাছে ভাত খাইতে চাহিলেন । রাজকুমারের কথা শুনিয়া মহুয়া কঁাদিতে লাগিল। এদিকে সন্ন্যাসীর আদেশে মহুয়া রোজই তাহার পূজার জন্য সাজি ভরিয়া ফুল আনিতে যায়, কিন্তু যে দিন নদের চাদ ভাত চাহিলেন, সে দিনটা মহুয়া কঁাদিয়া কাটাইল, সে দিন আর সে ফুল তুলিতে গেল না। “কোথায় পাইব ভাত এই গহিন বনে। ফুল নাহি তোলে কন্যা থাকে অন্যমনে ৷” এদিকে সন্ন্যাসীর সংযমের বঁাধ টুটিয়া গিয়াছে, সে মহুয়ার রূপ-যৌবন দেখিয়া ভুলিয়া গিয়াছে। সে যতই চেষ্টা করে, কিছুতেই মনকে প্ৰবোধ দিতে পারে না। টাটুকা ফুলে সাজি ভৰ্ত্তি, তবুও মধ্যরাত্রে আসিয়া সে দরজায় আঘাত করিয়া মহুয়াকে জাগায়। একদিন গভীর রাত্রে সে মহুয়াকে ডাকিয়া ঘুম হইতে উঠাইল এবং বলিল—“আজ পূর্ণিমা, শনিবার, চল, গভীর জঙ্গল হইতে তোমার স্বামীর ঔষধ কুডইয়া লইয়া আসি।” গভীর বন-পথে স্বীয় অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ ও দম্পতির নিস্কৃতি সেই রাত্রে গভীর বন-পথে নদীর তীরে যাইতে যাইতে সন্ন্যাসী বলিল, “কুমারী, আমি তোমার রূপের মোহে পাগল হইয়াছি, তুমি আমাকে তোমার যৌবন দান করিয়া সুখী করা। আমি তোমার পদাশ্ৰিত, আমার কি অপরাধ, স্ৰষ্টা কেন তোমাকে এত রূপের রূপসী করিয়া १ांख्रिशांछि८ब्लन ” স্বামীর সেই অবস্থায় মহুয়ার মন ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, সে পাগলের মত হুইয়া গিয়াছে। সন্ন্যাসীর কথা শুনিয়া তাহার মস্তকে যেন কেহ খাড়ার