পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-8 শৰদতত্ত্ব করণ কারকেও ”এ’ বিভক্তি চলে। যথা “পূজিলেন ভূষণে চন্দনে।” “ধনে ধান্তে পরিপূর্ণ।” “তিলকে ললাট শোভিত ।” ংলায় সম্প্রদান কৰ্ম্মের অনুরূপ । যথা –“দীনে করো দান” *গুরু জনে করো নতি ।” অধিকরণের তে কথাই নাই। . যাহা হৌক সম্বন্ধের চিহ্ন লইয়া প্রায় সকল কারকের কাজ চলিয়া গেল কিন্তু স্বয়ং সম্বন্ধের বেল কিছু গোল দেখা योंध्र । 矚 ংলায় সম্বন্ধে “র” আসিল কোথা হইতে ? পাঠকগণ বাংলা প্রাচীন কাব্যে দেখিয়া থাকিবেন তাহার যাহার প্রভৃতি শব্দের স্থলে “তাকর”“যাকর” প্রভৃতি প্রয়োগ কোথাও দেখা যায়। এই “কর” শব্দের ‘ক’ লোপ পাইয়া ‘র’ অবশিষ্ট রহিয়াছে এমন অকুমান সহজেই মনে উদয় হয়। পশ্চিমি হিন্দির অধিকাংশ শাখায় ষষ্ঠীতে কো, কা, কে, প্রভৃতি বিভক্তি যোগ হয়। যথা ঘোড়েকা, ঘোড়েকে, ঘোড়েকেী, ঘোড়াকে । ংলার সহিত যাহাদের সাদৃশ্ব আছে নিয়ে বিবৃত হইল. মৈথিলী—ঘোড়াকর, ঘোড়াকের ; মাগধী—ঘোড়াকের, ঘোড়বাকর ; মাড়োয়ারী—ঘোড়ারো ; বাংলা ঘোড়ার । (> এই তালিকা আলোচনা করিলে প্রতীতি হয় “কর” শব্দ কোনোও ভাষা সমগ্র রাখিয়াছে, এবং কোনোও ভাষায় উহার “ক” অংশ কোনোও ভাষায় উহার র অংশ রক্ষিত হইয়াছে।