পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

УУ о শব্দতত্ত্ব ব্যক্ত করা হয়, কিন্তু “কান” কথাটাকে দুইবার বাকাইয়া বলিয়া একটা ইঙ্গিতে সমস্তটা সংক্ষেপে সারিয়া দেওয়া হইল। এপর্য্যস্ত আমরা তিন রকমের ইঙ্গিতবাক্য পাইলাম। একটা ধ্বনিমূলক, যেমন সো সো, কনকন ইত্যাদি । আর একটা, পদবিকার-মূলক যেমন খোলাখালী, গোলগাল চুপচাপ ইত্যাদি। আর একটা পদদ্বৈতমূলক, যেমন বলাবলি ইত্যাদি । ধ্বনিমূলক শব্দগুলি দুই রকমের । একটা ধ্বনিদ্বৈত, আর একটা ধ্বনিদ্বৈধ —ধ্বনিদ্বৈত, যেমন কলকল, কটকট ইত্যাদি ; ধ্বনিদ্বৈধ যেমন ফুটফাট, কুপকাপ ইত্যাদি। ধ্বনিমূলক এই শব্দগুলি আমাদের ইন্দ্ৰিয়বোধ বেদনাবোধ প্রভৃতি অনুভূতি প্রকাশ করে । পদবিকারমূলক শব্দগুলি একটা নিদিষ্ট অর্থকে কেন্দ্র করিয়া তাহার চারিদিকে অনির্দিষ্ট আভাসটুকু ফিকা করিয়া লেপিয়া দেয়। পদদ্বৈতমূলক শব্দগুলি, সাধারণত অন্তোন্তত প্রকাশ করে । ধ্বনিদ্বৈধ ও পদবিকারমূলক শব্দগুলিতে আমরা এ পর্য্যন্ত কেবল স্বরবিকারেরই পরিচয় পাইয়াছি যেমন হুস হাস্—হুসের সহিত যে বর্ণভেদ ঘটিয়াছে তাহা স্বরবর্ণভেদ–খোলাখালা প্রভৃতি শব্দ সম্বন্ধেও সেইরূপ । এবারে ব্যঞ্জনবর্ণ বিকারের দৃষ্টান্ত লইয়া পড়িব । প্রথমে অর্থহীন শব্দমূলক কথাগুলি দেখা যাক, যেমন, উস্থুস, উস্কো খুস্কো, নজ গজ নিশ পিশ, আইচাই,কাচুমাচু, আবলতাবল, হাসফাস, খুটিনাটি, আগড়ম-বাগড়ম, এবড়ে-খেব ড়ো, ছট্‌ফট্‌,