পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বরবর্ণ ‘এ’ )ని পূৰ্ব্বেও সম্ভবতঃ এই নিয়ম খাটে কিন্তু প্রচলিত বাংলায় তাহার কোনো উদাহরণ পাওয়া যায় না । একটা কেবল উল্লেখ করি, কেহ কেহ ‘দিন-‘ক্ষণ’কে ‘দিন থ্যাণ' বলিয়া থাকেন । এইখানে পাঠকদিগকে বলিয়। রাখি “ন’ অক্ষর যে কেবল একারকে আক্রমণ করে তাহা নহে অকারের প্রতিও তাহার বক্রসৃষ্টি আছে—বন,মন, ধন, জন প্রভৃতি শব্দের প্রচলিত উচ্চারণ প্রণিধান করিয়া দেখিলে দেখ যাইবে উক্ত শব্দগুলিতে আদ্যক্ষরযুক্ত অকারের বিকৃতি ঘটিয়াছে। বট, মঠ, জল প্রভৃতি শব্দের প্রথমাক্ষবের সহিত তুলন। করিলে আমার কথা স্পষ্ট হইবে। আমার বিশ্বাস, পরবত্তী চ’ অক্ষরও এইরূপ বিকারজনক । কিন্তু কথা বড়ে বেশি পাওয়া যায় না। একটা কথা আছে—প্যাচ । কিন্তু সেট যে "পেচ’ শব্দ হইতে রূপান্তরিত হইয়াছে এমন আকুমান করিবার কোনো কারণ নাই । অার একটা বলা যায় ট্যাচ । ট্যাচ করিয়া দেওয়া । এ শব্দ সম্বন্ধেও পূৰ্ব্বকথা খাটে। অতএব এটাকে নিয়ম বলিয়। মানিতে পারি না । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গবাসী পাঠকেরা কাল্পনিক শব্দবিন্যাস দ্বারা চেষ্টা করিয়া দেখিবেন চয়ের পূৰ্ব্বে বিশুদ্ধ একার উচ্চারণ জিহবার পক্ষে কেমন সহজ বোধ হয় না । এখানে বলা অবিশুক আমি দুই অক্ষরের কথা লইয় আলোচনা করিতেছি । পূৰ্ব্বনিয়মের দুটে একটা ব্যতিক্রম আছে। কোনো পাঠক যদি তাহার কারণ বাহির করিতে পারেন তো সুখী হুইব । এদিকে ‘ভেক’ উচ্চারণে কোনো গোলযোগ নাই, অথচ "এক’ শব্দ উচ্চারণে