পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 শবদতত্ত্ব বাংলায় সংস্কৃতেতর শব্দেও যে সকল প্রত্যয়ের ব্যবহার হয়, আমরা তাহাকে বাংলা প্রত্যয় বলিয়া গণ্য করিব। ত প্রত্যয় যোগে সংস্কৃত রঞ্জিতশব্দ নিম্পন্ন হইয়াছে, কিন্তু বাংলায় ত প্রত্যয়ের ব্যবহার নাই, সেইজন্য আমরা রঙিত বলি না। সজ্জিত হয়, সাজিত হয় না ; অতএব ত প্রত্যয় বাংলা প্রত্যয় নহে । হিন্দি পারসী প্রভৃতি হইতে বাংলায় যে সকল প্রত্যয়ের আমদানী হইয়াছে, সে সম্বন্ধেও আমার ঐ একই বক্তব্য । সই প্রত্যয় সম্ভবতঃ হিন্দি বা পারসি,—কিন্তু বাংলা শব্দের সহিত তাহা মিশ্রিত হইয়া ট্যাক্সই, প্রমাণসঙ্ক মানানসই প্রভৃতি শব্দ স্বজন করিয়াছে । ওয়ান প্রত্যয় সেরূপ নহে । গাডোয়ান, দারোয়ান, পালোয়ান শব্দ আমর। হিন্দী হইতে বাংলায় পাইয়াছি, প্রত্যয়টি পাই নাই । অর্থাৎ যে সকল প্রত্যয় সংস্কৃত অথবা বিদেশীয় শব্দ-সহযোগে বাংলায় আসিয়াছে, বাংলার সহিত কোনো প্রকার আদান প্রদান করিতেছে না, তাহাকে আমরা বাংল। ব্যাকরণে প্রত্যয়রূপে স্বীকার করিতে পারি না । যে সকল কৃৎতদ্ধিতের সাহায্যে বাংলা বিশেষ্য ও বিশেষণ পদের স্বষ্টি হয়, বর্তমান প্রবন্ধে কেবল তাহারই উল্লেখ থাকিবে ; ক্রিয়াপদসম্বন্ধে বারাস্তরে আলোচনার ইচ্ছা রহিল । এই প্রবন্ধে বিশেষ্য বিশেষণকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছি। ক্রিয়াবাচক ও পদার্থবাচক । ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য যথা,—চলা, বল, সাৎরানো, বাচানো ইত্যাদি । পদার্থবাচক যথা, হাতি ঘোড়া