পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R दांना गांभकि-• দিক। বাংলা দেশের-তথা ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র ইংরেজী ; উহা ‘বেঙ্গল গেজেট, ১৭৮০ সনেৰ ২৯ জানুয়ারি হিকি (Hicky) কর্তৃক প্ৰকাশিত হয়। গবর্ণার-জেনারেল ওয়ারেন হেষ্টিংসের স্ত্রী ও জনকয়েক পদস্থ লোকের বিরুদ্ধে মানহানিকরা প্ৰবন্ধ প্ৰকাশ করায় দুই বৎসর যাইতে-না-যাইতেই এই সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রচার বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়। ইহার পর ‘ইণ্ডিয়া গেজেট’, ‘ক্যালকাটা গেজেট’, ‘হরকরা’ প্ৰভৃতি আরও কতকগুলি সংবাদপত্রের জন্ম হইয়াছিল। ज९बांधeiख-sizब সে-যুগে কোম্পানীর গবৰ্মেণ্ট সংবাদপত্রের উপর প্রসন্ন ছিলেন না। তাহারা অধিকাংশ সংবাদপত্রেব রচনা-ভঙ্গি উগ্র এবং ভাষা ইতর ও অশ্লীল বলিয়া বিবেচনা করিতেন। এই কারণে এবং সৈন্যসামন্তের গতিবিধি, জাহাজ-গমনাগমনের সংবাদ প্ৰভৃতি যাহাতে অবাধে। সংবাদপত্রে প্রচারিত না হইতে পারে, তজ্জন্য ১৭৯৯ সনের মে মাসে লর্ড ওয়েলেসলী সৰ্বপ্রথম সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সংকোচবিধান করেন। তখন হইতে নিয়ম হয়, সেক্রেটরির দ্বারা পরীক্ষিত হইবার পূর্বে এ-দেশে কোন সংবাদপত্ৰই প্রকাশিত হইতে পরিবে না ; নিয়ম ভঙ্গ করিলে সম্পাদককে ইউরোপে নিৰ্বাসিত হইতে হইবে । স্মরণ রাখা প্রয়োজন, তখন পৰ্য্যন্ত এ-দেশের সকল সংবাদপত্রই ইংরেজী ভাষাতে এবং ইউরোপীয়ের সম্পাদকত্বে প্ৰকাশিত হইত। এই নিয়মের ফলে সংবাদপত্রের সমস্ত লেখাই, এমন কি, বিজ্ঞাপন পৰ্যন্ত, মুদ্রণের পূর্বে অনুমোদনার্থ সরকারের সেক্রেটরির নিকট পেশ করিতে হইত। সরকার কর্তৃক সংবাদপত্র-শাসন কিরূপ কঠিনভাবে চলিয়াছিল, শ্ৰীরামপুর মিশনের জে. সি. মার্শম্যানের একখানি পত্র হইতে তাহা বেশ বুঝা যায়। তিনি লিখিয়াছেন, “সম্পাদকীয় মন্তব্যের স্থলে সংবাদপত্রের অনেক স্তম্ভই তারকা-চিহিত হইয়া বাহির হইত ; কেন না, সে-সকল অংশে 'সেন্সর’ তাহার সাতঘাতিক কলম চালাইতেন, শেষ মুহূৰ্ত্তে শূন্য অংশগুলি পূরণ করিয়া দেওয়া সম্ভব হইত না।” দমনকাৰ্য্য এই ভাবে কয়েক বৎসর চলিবার পর এমন একটি ঘটনা ঘটিল, যাহার ফলে গবৰ্ণর-জেনারেল লর্ড হেষ্টিংস ‘’সেনসর’ বা সংবাদপত্র-পরীক্ষকের পদ তুলিয়া দেওয়া সমীচীন বোধ করিলেন। হিট্‌লী নামে এদেশীয় এক জন সাহেব “মণিং পোষ্ট” পত্রের স্বত্বাধিকারী ও সম্পাদক হন। ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে সংবাদপত্র-পরীক্ষক বেলী সাহেব “মণিং পোষ্টে’র একটি সংখ্যার কিয়দংশ ছাপিতে নিষেধ করেন। কিন্তু হিটুলী তাহাতে কৰ্ণপাত করেন নাই ; তিনি জানাইয়াছিলেন যে, বঙ্গদেশে তীহার জন্ম, তাহার মাতা এদেশবাসিনী ; এ অবস্থায় সেনাসরের আদেশ অমান্য করিলেও তাঁহার কোন শাস্তি হইতে পারে না, যেহেতু এরূপ অপরাধে কেবলমাত্র ইউরোপীয় সম্পাদকগণেরই শাস্তির বিধান আছে। এই ব্যাপারে সংবাদপত্র-পরীক্ষক-পদের অসারতা উপলব্ধি করিয়া লর্ড হেষ্টিংস বিশেষ বিবেচনার পর সেনাসরের পদ রহিত করিয়া তৎপরিবর্তে সম্পাদকদের নির্দেশের জম্ভ কতকগুলি