পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ, ১৮৩৫-১৮৩৯ V আর দেবতাদিগের আধিপত্যও পাই তথাপি যে শোকেতে আমার ইন্দ্ৰিয় সকল শুষ্ক হইতেছে তাহার নিবারণের কোন উপায় দেখি না । আমরা এত কাল “আমরা।২” বলিতাম। এইক্ষণে আর আমরা ২ বলিতে পারিতেছি না, র্যাহারাদিগকে প্ৰাণাধিক বন্ধু জানিতাম এবং র্যাহারদিগকে আমরা জানিয়া “আমরা ২” লিখিয়াছি, যাহারা শঙ্কট সময়ে রক্ষা করিয়াছেন, দুঃখে দুঃখী হইয়াছেন, পীড়িত হইয়াছি ঔষধ পথ্য দিয়াছেন, যন্ত্রাগারে কি রাজদ্বারে যেখানে চাহিয়াছি সেইখানেই অর্থ দিয়া রক্ষা করিয়াছেন, সৎপরামর্শ দ্বার সাহসে রাখিয়াছেন এইক্ষণে র্তাহারাই আমারদিগের বিপক্ষ হুইয়া উঠিয়াছেন, সৰ্ব্ব প্রকারে যাহারদিগের অনুগ্ৰহে আমরা, আমরা, ছিলাম তাহারাই যদি পক্ষাস্তুর হইলেন। তবে আর আমরা, আমরা কৈ ? একাকী আমি, হুইয়া পড়িয়াছি, অর্থাৎ এই বন্ধুবিচ্ছেদ শোক আমাকে মোহিত করিয়াছে, আমার সাহসিক স্বভাবকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছে, অভিলাষকে নিকটে আসিতে দেয় না, আমোদমূল পলায়নপর হইয়াছে, ইন্দ্ৰিয় সকল আচল হইয়া গিয়াছে, নয়নদ্বয় ছিল ২ করিতেছে, এই বন্ধুবিচ্ছেদ রূপ শঙ্কট সময়ে শোক পরিহারের উপায় কি, যদি কুবের তুল্য ঐশ্বৰ্য্য এবং দেবরাজ বাজ্যও পাই তথাচ এ শোক নাশের সদুপায় হুইবেক না, নিদারুণ শোক হৃদয় বিদারণ করিতেছে । BBEDS S DBLOSKKt aiB BDYS DLDBtDtDg gBBBS BDBB BDBDDEKD gBtBDBD DBBBa আমার প্রখরা লেখনীও পরিহার স্বীকার করে এবং শ্ৰীযুত রাজা কমলকৃষ্ণ বাহাদুর যিনি কনিষ্ঠ হুইয়াও সকবংশে ঐ জ্যেষ্ঠের খ্যান্য বিশিষ্টাচারে গৌরব গরিষ্ঠ হইয়াছেন এবং অন্যান্য মান্যবার দলপতি মহাশয়গণ র্যাহারা দান মান্নাদি সৰ্ব্ব গুণে মান্য গণ্য বািন্তলাভ করিয়াছেন, ২৮ অগ্রহায়ণ দিবসীয় রসরাজ পাঠে ণ্ঠাহারা সকলেই আমার প্রতি অপ্ৰসন্ন হুইয়াছেন, বাস্তবিক আমি ভঁাহারদিগের বিপক্ষে অস্তঃকরণেও কটাক্ষ লক্ষ্য করি নাই, তথাচ বন্ধুবিচ্ছেদ শোকে আমার ঘন২ দীর্ঘ নিশ্বাস হইতেছে, বাঞ্চবোবাই যদি বিপক্ষ হইলেন, বিশেষে অমাৱ সৰ্ব্বাশ্রয় রাজা কমলকৃষ্ণ বাহাদুর যদি আমাকে পরিত্যাগ করিলেন তবে আমি কি অবলম্বনে জীবন ধারণ করিব ? তবে শোক সম্বরণের এই মাত্র উপায় দেখিতেছি রসরাজ বিদায়, রসরাজ হইতে সকলের মনোদুঃখ হইতেছে অতএব রসরাজকেই বিদায় দিলাম, ইহাতেও কি নিৰ্ম্মলকুল সাধুস্বভাব মহোদয়েরা প্ৰসন্নতা প্রদানে কৃপণ হইবেন, না, নীতিশাস্ত্রের অভিপ্ৰায় এরূপ নহে ‘স্নেহচ্ছেদেপি সাধুনাং গুণা নায়াস্তি বিক্রিয়াং । ভঙ্গেনাপি মৃণালানামানুবন্ধন্তি তপ্তবঃ’ ৷ সাধুগণের স্নেহসূত্র বিচ্ছিন্ন হইলেও গুণসুত্র স্নেহপাত্ৰকে পরিত্যাগ করে না, মৃণাল সকল ভঙ্গ হইলেও তন্তু সুত্র আবদ্ধ করিয়া রাখে । আমি প্ৰসন্নতা প্রার্থনা করি, সেই গুণ মহৌষধব হুইয়া আমার চিত্তকে প্ৰবোধ দিয়া শোকসাগর হইতে উত্তীৰ্ণ করিবে, হে মহামহিম দলপতি মহাশয়ণ, এত কাল যেমন মহাশয়েরা মহাদুগুণে আমাকে আমরা করিয়াছিলেন, সেই মহাদগুণ সহিত ক্ষমাদানে নিরাশ্রয় একাকী আমাকে পুনর্বার আমরা করুন, আমি মহাশয়দিগের বিশেষতঃ পরমাত্মীয় শ্ৰীযুত রাজা কমলকৃষ্ণ বাহাদুরের নিকট যে সকল উপকার প্রাপ্ত হইয়াছি এ দেহে জীবন