পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৭২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ ; ২৫ – ৪ ; ১৮ । ] উঠিলেন ; তিনি আপন মন্ত্রীদিগকে কহিলেন, আমরা কি তিন জন পুরুষকে বাধিয়। অগ্নিমধ্যে নিক্ষেপ করি নাই ? তাহারা উত্তর করিয়া রাজাকে কহিলেন, ২৫ হা, মহারাজ। তখন রাজ কহিলেন, দেখ, আমি চারি ব্যক্তিকে দেখিতেছি, উহারা মুক্ত হইয়া অগ্নির মধ্যে গমনাগমন করিতেছে, উহাদের কোন হানি হয় নাই ; আর চতুর্থ ব্যক্তির মূৰ্ত্তি দেবপুত্রের সদৃশ । ২৬ তখন নবুখদনিৎসর সেই প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডের দুয়ারের কাছে গিয়া কহিলেন, হে পরাৎপর ঈশ্বরের দাস শদ্রক, মৈশক ও আবেদ-নগো, বাহির হইয়া আইস । তখন শত্রক, মৈশক ও অরেদ-নগো অগ্নির মধ্য হইতে ২৭ বাহির হইয়। আসিলেন। পরে ক্ষিতিপাল, প্রতিনিধি, দেশাধক্ষ ও রাজমন্ত্রিগণ একত্র হইয়া ঐ তিন ব্যক্তিকে নিরীক্ষণ করিয়া দেখিলেন, অগ্নি তাহীদের শরীরের উপর কিছুই শক্তি প্রকাশ করে নাই, তাহাদের মস্তকের কেশও দগ্ধ হয় নাই, বস্ত্রও বিকৃত হয় নাই, এবং তাহাদের গায়ে অগ্নির গন্ধও নাই । তখন নবুর্গদ্বনিৎসর এই কথা কহিলেন, ধন্ত শত্রকের, মৈশকের ও আবেদ-নগোর ঈশ্বর, তিনি আপন দূত প্রেরণ করিয়া, তাহার সেই দাসদিগকে উদ্ধার করিলেন, যাহারা তাহাতে বিশ্বাস করিয়াছে, রাজার আজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়াছে, এবং আপনাদের ঈশ্বর ব্যক্তিরেকে যেন অন্ত কোন দেবের সেবা ও পূজা করিতে না ২৯ হয়, সেই জন্ত আপন আপন শরীর দিয়াছে। অতএব আমি এই নিয়ম স্থাপন করিতেছি, সকল দেশের লোক জাতি ও ভাষাবাদিগণের মধ্যে যে কেহ শত্রকের, মৈশকের ও আবেদ-নগোর ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কোন ভ্ৰান্তির কথা বলিবে, সে খণ্ডবিখণ্ড হইবে, এবং তাহার গৃহ সারের ঢিবি করা যাইবে ; কেনন। এ প্রকার ৩• উদ্ধার করিতে সমর্থ আর কোন দেবতা নাই । তখন রাজ। বাবিল প্রদেশে শত্রক, মৈশক ও আবেদ-নগোকে উচ্চপদস্থ করিলেন। ૨ જ নবুখদুনিৎসরের দ্বিতীয় স্বপ্ন, তাহার তাৎপর্য্য ও ফল । 8 . .” পৃথিবী নিবাসী সকল লোক, জাতি ও ভাষাবাদীর প্রতি নবুখদনিৎসর রাজার বিজ্ঞা২ পান । তোমাদের মহতী শান্তি হউক । পরাৎপর ঈশ্বর আমার পক্ষে যে সকল চিহ্ন-কাৰ্য্য ও আশ্চৰ্য্য কাৰ্য্য সাধন করিয়াছেন, তাহা আমি প্রচার করা বিহিত ও বুঝিলাম। আহ ! তাহার চিহ্ন সকল কেমন মহৎ । তাহার আশ্চয্য কাৰ্য্য সকল কেমন পরাক্রমশালী ! তাহার রাজ্য অনন্তকালীন রাজ্য, ও তাহার কর্তৃত্ব পুরুষানুক্রমে স্থায়ী। ৪ আমি নবুখদনিৎসর আপন গৃহে শান্তিযুক্ত ও ৫ আপন প্রাসাদে তেজস্বী ছিলাম। আমি এক স্বপ্ন দেখিলাম, তাহ আমার ত্রাসজনক হইল, এবং শব্যার দানিয়েল । 것》 উপরে নানা চিন্তা ও মনের দর্শন আমাকে বিহ্বল ৬ করিল। অতএব সেই স্বপ্নের তাৎপর্য্য আমাকে জানাইবার জন্ত আমি বাবিলের সমস্ত বিদ্বানু লোককে ৭ আমার নিকটে আনিতে আজ্ঞা করিলাম। পরে মন্ত্রবেত্ত, গণক, কল্দীয় ও জ্যোতিকেবত্তার। আমার কাছে আসিলে আমি তাহদের কাছে সেই স্বপ্ন বলিলাম ; কিন্তু তাহারা আমাকে তাহার তাৎপৰ্য্য ৮ বলিতে পারিল না। অবশেষে দানিয়েল, যাহার নাম আমার দেবের নামানুসারে বেণ্টশৎসর, যাহার অন্তরে পবিত্র দেবগণের আত্মা আছেন, তিনি আমার সম্মুখে আসিলেন, আর আমি তাহার কাছে সেই স্বপ্ন বলিলাম ; যথা— ৯ হে মন্ত্রবেত্ত্বগণের অধ্যক্ষ বেস্টশৎসর, আমি জানি, পবিত্র দেবগণের আত্মা তোমার অন্তরে আছেন, এবং কোন নিগুঢ় বাক্য তোমার পক্ষে কষ্টকর নহে ; আমি স্বপ্লে ষে যে দর্শন পাইয়াছি, তাহ ও তাহার ১০ তাৎপৰ্য্য আমাকে জ্ঞাত কর । শয্যার উপরে আমার মনের দর্শন এই ; আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, পৃথিবীর মধ্যস্থলে এক বৃক্ষ রহিয়াছে, তাহ। ১১ উচ্চে বৃহৎ । সেই বৃক্ষ বুদ্ধি পাইয়। বলবান ও উচ্চতায় গগনস্পশী হইল, সমস্ত পৃথিবীর প্রান্ত পর্যান্ত ১২ দৃশ্যমান হইল। তাহার সুন্দর সুন্দর পত্র ও বিস্তর ফল ছিল, তাহার মধ্যে সকলের জছ খাদ্য ছিল : তাহার তলে মাঠের পশুগণ ছায় প্রাপ্ত হইত, তাহার শাখায় আকাশের পক্ষিগণ বাস করিত, এবং সমস্ত ১৩ প্রাণী তাহ হইতে খাদ্য পাইত। পরে অামি আমার শয্যার উপরে মনের দর্শনে দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, এক জন প্রহরী, এক পবিত্র ব্যক্তি, স্বৰ্গ হইতে ১৪ নামিয়া আসিলেন। তিনি উচ্চৈঃস্বরে এই কথা কহিলেন, বৃক্ষটা ছেদন কর, উহার শাখা কাটিয়া ফেল, উহার পত্র ঝাড়িয় ফেল, এবং উহার ফল ছড়াইয়৷ দেও : উহার তল হইতে পণ্ডগণ ও উহার শাখা হইতে ১৫ পক্ষিগণ চলিয়া যাউক । কিন্তু ভূমিতে উহার মূলের কাণ্ডকে লৌহ ও পিত্তলের শৃঙ্খলে বদ্ধ করিয়া ক্ষেত্রের কোমল তৃণমধ্যে রাখ ; আর সে আকাশের শিশিরে ভিজুক, এবং পশুদের সহিত পৃথিবীর তৃণে তাহার ংশ হউক ; তাহার হৃদয় মানুষের না থাকিয়া পরিবৰ্ত্তিত হউক, ও তাহাকে পশুর হৃদয় দত্ত হউক ; এবং তাহার উপরে সাত কাল ঘূক্লক । এই বাৰ্ত্ত। প্রহরিবর্গের আদেশে, ও এই বিষয়টা পবিত্ৰগণের কথায় দত্ত হইল ; অভিপ্রায় এই, যেন জীবিত লোকেরা জানিতে পারে যে, মনুষ্যদের রাজ্যে পরাৎপর কর্তৃত্ব করেন, যাহাকে তাহ দিতে ইচ্ছা করেন, তাহাকে তাহ দেন, ও মনুষ্যদের মধ্যে অতি নাচ ১৮ ব্যক্তিকে তাহার উপরে নিযুক্ত করেন। আমি রাজা নবুর্থদ্বনিৎসর এই স্বপ্ন দেখিয়াছি ; এখন হে বেণ্টশৎসর, তুমি তাৎপৰ্য্য বল, কেননা আমার রাজ্যস্থ কোন বিদ্বাৰূ আমাকে তাৎপৰ্য্য বলিতে পারে ন৷ 3● 719