পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৯৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > ; >bー> ペ 5 >e 1] মধ্যে তোমাকে কলমরূপে লাগান গেল, আর তুমি ১৮ জিতবৃক্ষের রসের মূলের অংশী হইলে, তবে সেই শাখা সকলের বিরুদ্ধে শ্লাঘা করিও না ; কিন্তু যদি শ্লাঘা কর, তুমি মূলকে ধারণ করিতেছ না, কিন্তু ১৯ মূলই তোমাকে ধারণ করিতেছে। ইহাতে তুমি বলিবে, আমাকে কলমরূপে লাগাইবার জন্তই কতক২০ গুলি শাখা ভাঙ্গিয় ফেলা হইয়াছে। বেশ কথা, অবিশ্বাস হেতুই উহাদিগকে ভাঙ্গিয় ফেলা হইয়াছে, ২১ এবং বিশ্বাস হেতুই তুমি দাড়াইয়া আছ। উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, বরং ভয় কর ; কেননা ঈশ্বর যখন সেই প্রকৃত শাখাগুলির প্রতি মমতা করেন নাই, ২২ তখন তোমার প্রতিও মমতা করিবেন না । অতএব ঈশ্বরের মধুর ভাব ও কঠোর ভাব দেখ ; যাহারা পতিত হইল, তাহীদের প্রতি কঠোর ভাব, এবং তোমার প্রতি ঈশ্বরের মধুর ভাব, যদি তুমি সেই মধুর ভাবের ২৩ শরণাপন্ন থাক ; নতুবা তুমিও ছিন্ন হইবে। আবার উহার যদি আপনাদের অবিশ্বাসে না থাকে, তবে উহাদিগকেও লাগান যাইবে, কারণ ঈশ্বর উহাদিগকে ২৪ আবার লাগাইতে সমর্থ আছেন । বস্তুতঃ যেটা স্বভাবতঃ বন্ত জিতবৃক্ষ, তোমাকে তাহ হইতে কাটিয়া লইয় যখন স্বভাবের বিপরীতে উত্তম জিতবৃক্ষে লাগান গিয়াছে, তখন প্রকৃত শাখা যে উহারা, উহাদিগকে নিজ জিতবৃক্ষে লাগান যাইবে, ইহ। কত অধিক নিশ্চয়। কারণ, ভ্রাতৃগণ, তোমরা যেন আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান না হও, এজন্ত আমি ইচ্ছা করি না যে, তোমরা এই নিগুঢ়তত্ত্ব অজ্ঞাত থাক যে, কতক পরিমাণে ইস্রায়েলের কঠিনতা ঘটিয়াছে, যে পয্যন্ত ২৬ পরজাতীয়দের পূর্ণ সংখ্য প্রবেশ না করে ; আর এই প্রকারে সমস্ত ইস্রায়েল পরিত্রাণ পাইবে ; যেমন লিখিত আছে, “ সিয়োন হইতে মুক্তিদাতা আসিবেন ; তিনি যাকোব হইতে ভক্তিহীনতা দূর করিবেন ; আর ইহাই তাহদের পক্ষে আমার নিয়ম, যখন আমি তাহীদের পাপ সকল হরণ করিব।” * উহারা মুসমাচারের সম্বন্ধে তোমাদের নিমিত্ত শক্র, কিন্তু নিৰ্ব্বাচনের সম্বন্ধে পিতৃপুরুষগণের নিমিত্ত প্রিয় ২৯ পাত্র। কেননা ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান সকল ও র্তাহার ৩• আহবান অনুশোচনা-রহিত। ফলতঃ তোমরা যেমন পূৰ্ব্বে ঈশ্বরের অবাধ্য ছিলে, কিন্তু এখন উহাদের ৩১ অবাধ্যতা প্রযুক্ত দয়া পাইয়াছ, তেমনি ইহারাও এখন অবাধ্য হইয়াছে, যেন তোমাদের দয়াপ্রাপ্তিতে ৩২ তাহারাও এখন দয়া পায় । কেননা ঈশ্বর সকলকেই অবাধ্যতার কাছে রুদ্ধ করিয়াছেন, যেন তিনি সকলেরই প্রতি দয়া করিতে পারেন । ৩৩ আহা ! ঈশ্বরের ধনাঢ্যতা ও প্রজ্ঞ ও জ্ঞান কেমন অগাধ । তাহার বিচার সকল কেমন বোধ্যতীত । ৩৪ তাহার পথ সকল কেমন অনমুসন্ধেয় । কেননা

  • যিশ ৫৯ ; ২০ ।

을C ミ9 スbア যির ৩১ ; ৩৩,৩৪ ৷ রোমীয় ।

  • @ A

প্রভুর মন কে জানিয়াছে ? “র্তাহার মন্ত্রীই বা কে হইয়াছে ?” * অথবা কে অগ্রে উহাকে কিছু দান করিয়াছে যে, এজষ্ঠ তাহার প্রত্যুপকার করিতে হইবে ? ৩৬ যেহেতুক সকলই তাহ হইতে ও তাহার দ্বার ও তাহার নিমিত্ত। যুগে যুগে তাহারই গৌরব হউক । আমেন । ধৰ্ম্মাচরণ বিষয়ক নানা বিধি । S R অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নান করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের ২ চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা। আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নুতনীকরণ দ্বার স্বরূপান্তরিত হও ; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ । গ্রাষ্টের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সকলের উপযুক্ত ব্যবহার । ৩ বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবৰ্ত্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষ বড় বোধ না করুক ; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে স্থবোধ হইবারই চেষ্টায় আপনার বিষয়ে ৪ বোধ করুক। কেননা যেমন আমাদের এক দেহে অনেক অঙ্গ, কিন্তু সকল অঙ্গের একরূপ কাৰ্য্য ৫ নয়, তেমনি এই অনেকে যে আমরা, আমরা খ্ৰীষ্টে ৬ এক দেহ এবং প্রত্যেকে পরস্পর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আর আমাদিগকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তদনুসারে যখন আমরা বিশেষ বিশেষ বর প্রাপ্ত হইয়াছি, তখন সেই বর যদি ভাববাণী হয়, তবে আইস, বিশ্বাসের ৭ পরিমাণ অনুসারে ভাববাণী বলি ; অথবা তাহা যদি পরিচর্য্যা হয়, তবে সেই পরিচর্য্যায় নিবিষ্ট হই ; ৮ অথবা যে শিক্ষা দেয়, সে শিক্ষাদানে, কিম্বা যে উপদেশ দেয়, সে উপদেশ দানে নিবিষ্ট হউক ; যে দান করে, সে সরল ভাবে, যে শাসন করে, সে উদ্যোগ সহকারে, যে দয়া করে, সে হৃষ্টচিত্তে করুক । ৯ প্রেম নিষ্কপট হউক। যাহা মন্দ তাহ নিতান্তই ১০ ঘুণী কর ; যাহা ভাল তাহাতে আসক্ত হও । ভ্রাতপ্রেমে পরস্পর স্নেহশীল হও ; সমাদরে এক জন ১১ অন্তকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর। যত্বে শিথিল হইও না, ১২ আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর, প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্য্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট ১৩ থাক, পবিত্ৰগণের অভাবের সহভাগী হও, অতিথি১৪ সেবায় রত হও । যাহার তাড়ন করে, তাহাদিগকে আশীৰ্ব্বাদ কর, আশীৰ্ব্বাদ কর, শাপ দিও না। ১৫ যাহার আনন্দ করে, তাহদের সহিত আনন্দ করা:

  • যিশ ৪০ ; ১৩ ।

\LA 157