পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৯৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ; S.–5 ; Se তোমাদের আনন্দের সহকারী হই । কারণ বিশ্বাসেই তোমরা দাড়াইয়া আছ। ९ পুনৰ্ব্বার মনোদুঃখ লইয়া তোমাদের নিকটে ২ যাইব না। কেননা আমি যদি তোমাদিগকে দুঃখিত করি, তবে আমার আনন্দদায়ক কে ?- কেবল সেই, ৩ যে আমা দ্বারা দুঃখিত হয়। আর এই অভিপ্রায়ে সেই কথা লিখিয়াছিলাম, যেন আমি আসিলে যাহাঁদের হইতে আমার আনন্দিত হওয়া উপযুক্ত, তাহীদের হইতে মনোদুঃখ ন জন্মে ; কেননা তোমাদের সকলের বিষয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, আমার আনন্দে ৪ তোমাদের সকলেরই আনন্দ । কারণ অনেক ক্লেশ ও মনোবেদনার মধ্যে অনেক অশ্রুপাত করিতে করিতে তোমাদিগকে লিখিয়াছিলাম ; তোমরা যেন দুঃখিত হও, সে জষ্ঠ্য নয়, কিন্তু তোমাদের প্রতি আমার যে অতিমাত্র প্রেম আছে, তাহ যেন জ্ঞাত হও । ৫ কিন্তু কেহ যদি দুঃখ দিয়া থাকে, তবে সে আমাকে দুঃখ দেয় নাই, কিন্তু কতক পরিমাণে –আমি যেন বেশী পীড়ন না করি,—তোমাদের সকলকেই দিয়াছে। ও অধিকাংশ লোকের দ্বারা তাদৃশ ব্যক্তি যে দণ্ড পাইয়াছে, ৭ তাহাই তাহার পক্ষে যথেষ্ট । অতএব তোমরা বরং তাহাকে ক্ষমা করিলে ও সান্তুনা করিলে ভাল হয়, পাছে অতিরিক্ত মনোদুঃখে তাদৃশ ব্যক্তি কবলিত ৮ হয়। এ কারণ বিনতি করি, তোমরা তাহার প্রতি ৯ প্রেম স্থির কর । কারণ তোমরা সৰ্ব্ববিষয়ে আজ্ঞাবহ কি না, ইহার প্রমাণ জ্ঞাত হইবার নিমিত্ত তোমা১০ দিগকে লিখিয়াছিলাম । যাহার কোন দোষ তোমরা ক্ষমা কর, আমিও ক্ষমা করি ; কেননা আমিও যদি কিছু ক্ষমা করিয়া থাকি, তবে তোমাদের নিমিত্তে ১১ খ্রীষ্টের সাক্ষাতে তাহ। ক্ষমা করিয়াছি, যেন আমরা শয়তানকর্তৃক প্রতারিত ন হই ; কেননা তাহার কল্পনা সকল আমরা অজ্ঞাত নই। ঈশ্বরীর নূতন নিয়মের উৎকৃষ্টত । আমি যখন খ্রীষ্টের মুসমাচারের জষ্ঠ্য ত্রোয়াতে গিয়াছিলাম, আর প্রভুতে আমার সম্মুখে একটী দ্বার ১৩ খোলা হইয়াছিল, তখন আমার ভ্রাতা তীতকে ন৷ পাওয়াতে আমার আত্মীয় কিছু আরাম পাই নাই ; কিন্তু আমি তাহদের নিকট হইতে বিদায় লইয়৷ ১৪ মাকিদনিয়ায় চলিয়া গেলাম। আর ধন্ত ঈশ্বর, তিনি সৰ্ব্বদা আমাদিগকে লইয়৷ খ্রাষ্টে বিজয়-যাত্রা করেন, এবং তাহার সম্বন্ধীয় জ্ঞানের সুগন্ধ আমাদের দ্বার ১৫ সৰ্ব্বস্থানে প্রকাশ করেন ; কারণ যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছে ও যাহারা বিনাশ পাইতেছে, উভয়ের ১৬ কাছে আমরা ঈশ্বরের পক্ষে খ্রীষ্টের সুগন্ধস্বরূপ। এক পক্ষের প্রতি আমরা মৃত্যুমূলক মৃত্যুজনক গন্ধ, অষ্ঠ পক্ষের প্রতি জীবনমূলক জীবনজনক গন্ধ। আর ১৭ এই সকলের জষ্ঠ উপযুক্ত কে ? আমরা ত সেই Y R ২ করিন্থীয় । আর আমি নিজে এই স্থির করিয়াছিলাম যে, | 2 * @ অনেকের স্থায় যে ঈশ্বরের বাক্যে ভাজ দিই, তাহ। নয় ; কিন্তু সরল ভাবে, ঈশ্বরের আদেশক্রমে, আমরা ঈশ্বরের সম্মুখে খ্রষ্টে কথা কহিতেছি। আমরা কি পুনৰ্ব্বার আপনাদের প্রশংসা করিতে আরম্ভ করিতেছি ? অথবা তোমাদের প্রতি কিম্বা তোমাদের হইতে মুখ্যাতি-পত্রে কি অন্ত কাহারও কাহারও স্তায় আমাদেরও প্রয়োজন ২ আছে ? তোমরাই আমাদের পত্র, আমাদের হৃদয়ে লিখিত পত্র, যাহা সকল মনুষ্য জানে ও পাঠ করে : ৩ ফলতঃ তোমরা খ্রীষ্টের পত্র, আমাদের পরিচর্য্যায় সাধিত পত্র বলিয়া প্রকাশ পাইতেছ তাহ কালী দিয়া নয়, কিন্তু জীবন্ত ঈশ্বরের আত্মা দিয়া, প্রস্তর-ফলকে নয়, কিন্তু মাংসময় হৃদয়-ফলকে লিখিত হইয়াছে। ৪ আর খ্ৰীষ্ট দ্বারা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের এইরূপ 巫 ৫ বিশ্বাস হইয়াছে। আমরা যে আপনারাই কিছুর মীমাংসা করিতে নিজ গুণে উপযুক্ত তাহ নয় ; কিন্তু ৬ আমাদের উপযোগিতা ঈশ্বর হইতে উৎপন্ন ; তিনিই আমাদিগকে নূতন নিয়মের পরিচারক হইবার উপযুক্তও করিয়াছেন, অক্ষরের নয়, কিন্তু আত্মার পরিচারক ; কারণ অক্ষর বধ করে, কিন্তু অক্সি। ৭ জীবনদায়ক। কিন্তু মৃত্যুর যে পরিচর্য্য-পদ অক্ষরশ্রেণীতে প্রস্তরে ক্ষোদিত, তাহা যদি এমন তেজোযুক্ত হইয়া আসিল যে, ইস্রায়েল-সন্তানগণ মোশির মুখের তেজ প্রযুক্ত তাহার মুখের দিকে একদৃষ্টি চাহিতে পারিল ৮ না, ক্ষু—সেই তেজ ত লোপ পাইতেছিল—তবে কেন আত্মার পরিচর্য্য-পদ বরং আরও তেজোযুক্ত হইবে না ? ৯ কেননা দণ্ডাজ্ঞার পরিচর্য্য-পদ যদি তেজঃস্বরূপ হইল, তবে ধাৰ্ম্মিকতার পরিচর্য্য-পদ তেজে আরও অধিক ১• উপচিয় পড়ে। কারণ যাহা তেজোযুক্ত করা হইয়াছিল, তাহ। এ বিষয়ে সেই অতিরিক্ত তেজ প্রযুক্ত তেজোযুক্ত ১১ হয় নাই। কেননা যাহা লোপ পাইতেছে, তাহ যদি তেজোযুক্ত হইল, তবে যাহা স্থায়ী, তাহ কত অধিক তেজোযুক্ত ! ঈশ্বরের সহকার্য্যকারীদের পরিচর্য্যা-পদ । ১২ অতএব, আমাদের এই প্রকার প্রত্যাশ থাকাতে ১৩ আমরা অতি স্পষ্ট কথা ব্যবহার করি ; আর মোশির মতন করি না ; তিনি ত আপন মুখে আবরণ দিতেন, যেন ইস্রায়েল-সন্তানগণ একদৃষ্টি চাহিয়৷ তাহার পরিণাম না দেখে, যাহা লোপ পাইতেছিল । ১৪ কিন্তু তাহাদের মন কঠিনীভূত হইয়াছিল। কেনন পুরাতন নিয়মের পাঠে সেই আবরণ অদ্য পৰ্য্যন্ত রহিয়াছে, খোলা যায় না, কেননা তাহ খ্রীষ্টেই লোপ ১৫ পায় ; + কিন্তু অদ্য পৰ্য্যন্ত যে কোন সময়ে মোশি পাঠ

  • যাত্রা ৩৪ ; ২৯-৩৫ ৷ + ( বা ) রহিয়াছে, কেনন। তাৰা যে গ্রীষ্টে লোপ

পাইয়াছে, ইহা প্রকাশিত হয় নাই । 175