পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৯৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > ; > *—S 3 ; So I } ১৭ একটু শ্লাঘা করি। এই যে কথা বলিতেছি, ইহ। প্রভুর মতানুসারে বলিতেছি না, কিন্তু এক প্রকার নিবৃদ্ধিতায় এই শ্লাঘার নিশ্চয়জ্ঞানে বলিতেছি । ১৮ অনেকে যখন মাংস অনুসারে শ্লাঘা করিতেছে, তখন ১৯ আমিও শ্লাঘা করিব। কেননা তোমরা নিজে বুদ্ধিমানু বলিয়। নিকেবাধ লোকদের প্রতি আনন্দের সহিত ২• সহিষ্ণুত করিয়া থাক ; কারণ কেহ যদি তোমাদিগকে দাস করে, যদি তোমাদিগকে খাইয় ফেলে, যদি তোমাদিগকে ধরিয়া লয়, যদি দপ করে, যদি তোমাদের গালে চড় মারে, তবে তোমরা সহিষ্ণুত করিয়া থাক । ২১ আমি অনাদর স্বীকারপূর্বক বলিতেছি, যেন আমরা ভুকবল ছিলাম ; তথাপি যে বিষয়ে অস্থ্য কেহ সাহস করে— নিববন্ধিতায় বলিতেছি—সেই বিষয়ে আমিও } ২২ সাহস করি । উহার কি ইব্রীয় ? আমিও তাহাই । উহার কি ইস্রায়েলীয় ? আমিও তাহাই । উইণর কি ২৩ অব্রাহামের বংশ ? আমিও তাহাই। উহার কি খ্ৰীষ্টর পরিচারক ?--হতবুদ্ধির স্থায় বলিতেছি—আমি অধিকতররূপে ; আমি পরিশ্রমে অতিমাত্ররাপে, করাবন্ধনে অতিমাত্ররূপে, প্রহারে অতিরিক্তরূপে, ২৪ প্রাণসংশয়ে অনেক বার । যিহুদীদের হইতে পাঁচ বার ২৫ উনচল্লিশ আঘাত প্রাপ্ত হইয়াছি । তিন বার বেত্ৰাখাত, এক বার প্রস্তরাঘাত, তিন বার নৌকাভঙ্গ সহ করিয়াছি, অগাধ জলে এক দিবারাত্র যাপন করিয়াছি ; ২৬ যাত্রায় অনেক বার, নদীসঙ্কটে, দমাসঙ্কটে, স্বজাতিঘটিত সঙ্কটে, পরজাতি-ঘটিত সঞ্চটে, নগরসঙ্কটে, মঞ্চসঙ্কটে, সমুদ্রসঙ্কটে, ভক্তি ভ্রাতৃগণের মধ্যে ঘটিত ২৭ সঞ্চটে, পরিশ্রমে ও আয়াসে, অনেক বার নিদ্রার অভাবে, ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায়, অনেক বার অনাহারে, শীতে ও ২৮ উলঙ্গতায় । আর সকল বিষয়ের কথা থাকুক, একটা বিষয় প্রতিদিন আমার উপরে চাপিয়া রহিয়াছে,— সমস্ত ২৯ মণ্ডলীর চিন্ত । কে দুৰ্ব্বল হইলে আমি দুর্বল ৩০ ন হই ? কে বিঘ্ন পাইলে আমি ন পুডি ? যদি মাঘ। করিতে হয়, তবে আমার নানা দুৰ্ব্বলতার বিষয়ে শ্লাঘ। ৩১ করিব। প্রভু যীশুর ঈশ্বর ও পিতা, যিনি যুগে যুগে ধস্থ্য, তিনি জানেন যে, আমি মিথা কথা বলিতেছি ৩২ না। দন্মুেশকে আরিত রাজার নিযুক্ত শাসনকৰ্ত্ত। আমাকে ধরিবার চেষ্টায় দৰ্ম্মেশকীয়দের সেই নগরে ৩৩ পাহার দেওয়াইতেছিলেন ; আর একটা ঝুড়িতে করিয়। প্রাচীরস্থ বাতায়ন দিয়া আমাকে নামাইয়া দেওয়া হয়, তাই তাহার হাত এড়াইয়াছিলাম । পেশীলের স্বগীয় দর্শন । S R শ্লাঘ করা আমার পক্ষে আবশ্যক, তাহা হিতজনক নয় বটে, কিন্তু প্রভুর নানা দশন ও ২ প্রতাদেশের কথা কহিব । আমি খ্রীষ্ট্রের আশ্রিত এক ব্যক্তিকে জানি, চৌদ্দ বৎসর হইল—সশরীরে কি না, জানি না ; অশরীরে কি না, জানি না ; ঈশ্বর জানেন—এমন ব্যক্তি তৃতীয় স্বৰ্গ পয্যন্ত নীত হইয়া

  • (বা এই সকল বাহ্য বিষয় ছাড়া ।

২ করিন্থীয় । > ケイ > ৩ ছিল। আর এমন ব্যক্তির বিষয়ে আমি জানি— সশরীরে কি অশরীরে, তাহ। আমি জানি না, ঈশ্বর ৪ জানেন—সে পরমদেশে নীত হইয়া অকথ্য কথা ৫ শুনিয়াছিল, যাহা বলা মনুষ্যের বিধেয় নয়। এমন ব্যক্তির জষ্ঠ শ্লাঘা করিব ; কিন্তু আপনার জষ্ঠ্য শ্লাঘ। করিব না, কেবল নানা দুৰ্ব্বলতায় শ্লাঘা করিব। ৬ বাস্তবিক শ্লাঘা করিবার ইচ্ছা করিলেও আমি নিকেবাধ হইব না, কারণ সত্যই বলিব । তথাপি ক্ষান্ত রহিলাম, পাছে কেহ আমাকে যেরূপ দেখিতে পায় ও আমার মুখে যেরূপ শুনিতে পায়, আমাকে তদপেক্ষ শ্রেষ্ঠ বলিয়া জ্ঞান করে। পোলের নিজের দুৰ্ব্বলতা ও যীশুদত্ত বল । ৭ আর ঐ প্রত্যাদেশের অতি মহত্ত্ব হেতু আমি বেন অতিমাত্র দপ না করি, এই কারণে আমার মাংসে একট। কণ্টক, শয়তানের এক দূত, আমাকে দত্ত হইল, যেন সে আমাকে মুষ্টাঘাত করে, যেন আমি অতিমাত্র ৮ দপ না করি। এই বিষয় লইয়া আমি প্রভুর কাছে তিন বার নিবেদন করিয়াছিলাম, যেন উহ। আমাকে ৯ ছাড়িয়া যায়। আর তিনি আমাকে বলিয়াছেন, আমার অনুগ্রহ তোমার পক্ষে যথেষ্ট ; কেননা আমার শক্তি দুৰ্ব্বলতায় সিদ্ধি পায় । অতএব আমি বরং অতিশয় আনন্দের সহিত নানা দুর্বলতায় শ্লাঘা করিব, বেন ১০ খ্রীষ্টের শক্তি আমার উপরে অবস্থিতি করে । এই হেতু খ্রষ্টের নিমিত্ত নানা দুৰ্ব্বলতা, অপমান, অনাটন, তাড়ন, সঙ্কট ঘটিলে আমি প্রীত হই, কেনন। যখন আমি দুর্বল, তখনই বলবান । আমি নিকেবাধ হইলাম ; তোমরাই আমার পক্ষে তাহ আবশ্যক করিয়াছ ; কারণ আমার প্রশংস৷ করা তোমাদেরই উচিত ছিল ; কেননা যদিও আমি কিছুই নই, তবু সেই প্রেরিত-চুড়ামণিদের হইতে । ১২ কিছুতেই পিছনে পড়ি নাই। প্রেরিতের চিহ্ন সকল তোমাদের মধ্যে সম্পূর্ণ ধৈর্য্য সহকারে, নানা চিহ্নকাৰ্য্য, অদ্ভুত লক্ষণ ও পরাক্রম-কাৰ্য্য দ্বার, সম্পন্ন ১৩ হইয়াছে। বল দেখি, অন্ত সকল মণ্ডলী অপেক্ষা তোমরা কিসে অপকুষ্ট হইলে ? আমি আপনি তোমাদের গলগ্ৰহ হই নাই, এইমাত্র ; আমার এই অদ্যায়ট ক্ষমা কর । করিন্থীয়দের প্রতি শেষ নিবেদন । ১৪ দেখ, এই তৃতীয় বার আমি তোমাদের কাছে যাইতে প্রস্তুত আছি , আর আমি তোমাদের গলগ্রহ হইব না ; কেননা আমি তোমাদের কোন দ্রব্যের চেষ্ট নয়, তোমাদেরই চেষ্টা করিতেছি ; কারণ পিত মাতার জন্ত ধন সঞ্চয় করা সন্তানদের কর্তব্য নয়, ১৫ বরং সন্তানদের জন্ত পিতামাতার কর্তব্য । আর আমি অতিশয় আনন্দের সহিত তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত ব্যয় করিব, এবং বায়িতও হইব । আমি যখন তোমাদিগকে অধিক প্রেম করি, তখন কি অল্পতর প্রেম প্রাপ্ত হই ? S X 181