পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপের মান ও পরিমাণ \D8일 রোগা মোটা নানা মান পরিমাণ দিয়ে দেহের বৈচিত্র্য সাধন হ’ল স্বভাবের নিয়মে । জাতিগত.আর একটা মাপ আছে, যেমন চীনেম্যানে ও আন্দামানে, আফ্রিকায় ও এসিয়ায়, এই ইণ্ডিয়ানে ও রেড-ইণ্ডিয়ানে। একই জাতের আমগাছ কিন্তু অবস্থার গতিকে দুটো সমান বিস্তার সমান খাড়াই পেলে ন, ডোল পেলে না এক রকম। যখন বীজ অবস্থায় তখন ডৌল মায়ওজন ভার এক জাতীয় বীজে আর একটি সেই জাতীয় বীজে প্রায় সমান, চার। অবস্থাতেও কতকটা মাপেজোখে সমান তারা, কিন্তু বয়সে বাড়ার সঙ্গে গাছেদের চেহারা ডৌল বিভিন্ন মাপ ধরলে । আবার নাবকেল গাছ তালগাছ ধানের ছড় আখের গোছা—এর সব বয়সের অসমান নিয়ম থেকে ছাড়া পেয়ে সমানের নিয়মে বদ্ধ হ’ল । ইতর জীব—যেমন হাসের ছান মুরগীর ছানা—শৈশবে সমান বড় হ'লেও ডৌল থাকে প্রায় সমান, শুধু রঙের ভেদ এবং স্ত্রী-পুরুষ ভেদে স্বতন্ত্র রূপ পায় তারা। কাক কোকিল ময়ুর কাকাতুয়া টিয়ে এমনি আরো অনেক জন্তু তার বয়সে এক ডৌল একবর্ণ, শৈশবেও তাই। দুটো কাকের ও কাকের ছানার মধ্যে, দুটো এক জাতির বাঘেরও বাচ্ছার মধ্যে বদল ভেঙে নেওয়া শক্ত। সদ্য ঝরা ফুটি শিউলী ফুল—ভারি শক্ত দুয়ের কোথায় অমিল সেট ধরা। দুটো মুরগীর ডিম সমান মাপে ডোলে, দুটি চোখ প্রায় তাই, কিন্তু কাকের ডিমে হাসের ডিমে মুরগীর ডিমে মাপে ও বর্ণে পার্থক্য মুস্পষ্ট। বাঘের চোখে হরিণের চোখে সমান নয় কিন্তু বেরালের চোখে বাঘের চোখে ডোলের মিল আছে যদিও মাপে ওটা বড় এটা ছোট। হাতীর কানে ঘোড়ার কানে সমান করলে ছবিতে ভুল হয়ে যায়, কিন্তু গাধার কান ঘোড়াতে একেবারে বেমানান যে হয় তা নয়। নানা ঢঙের মাপজোখ নানা রঙের ওজন এমনি সব ব্যাপার নিয়ে উল্টেপাল্টে খেলে চলেছেন যেন কোন যাদুকর—নানা রঙ নানা ভাব নানা ডৌলের সংমিশ্রণে বিচিত্র হয়ে উঠেছে রূপজগৎ । বাধার্বাধি ও স্থিরতা নেই বল্লেই হয় স্বভাবের মাপজোখে—কি বর্ণের কি ডোলের কিবা ভাবের দিক দিয়ে সব দিকে আলগা । তেলাপোকার বেলায় দেখলেম এক জাতি এক ডোল এক মান পরিমাণ পেয়ে সবাই এক রূপ এক রঙ, প্রজাপতিতে দেখলেম নিয়ম উল্টে গেল—এক জাতীয় অথচ বর্ণে ডোলে