পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকৃতপক্ষে জড় ও অজড়, জীব ও জড়, দুই এক, অবিভক্ত এবং অবিভাজ্য। আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্ৰ বসু জীবসামান্য ধর্ম জড় পদার্থেও আবিষ্কার করিয়াছেন । জড়েরও এক প্রকারের অনুভূতি আছে, উপচয় অপচয় আছে। যখন জড়ে ও জীবে শক্তিক্রিয়ার একরকম পরিণতি ঘটিতেছে, তখন জড় ও জীব দুই এক, কেবল অবস্থার বিকাশভঙ্গি স্বতন্ত্র প্রকারের । এই হিসাবে তন্ত্র বলেন যে, সৃষ্ট পদার্থ মাত্রেরই প্ৰাণ আছে, অনুভূতিশক্তি আছে, সুখদুঃখবোধ আছে। এই মেদিনীমণ্ডল একটা সজীব পদার্থ, সৌর মণ্ডল একটা প্ৰাণযুক্ত যন্ত্র মাত্রদেহী পুরুষস্বরূপ। তাহার উপর সমগ্ৰ বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড একটা বিরাট জীব, বিরাট পুরুষ। যেমন মনুষ্য বা পশুদেহ জীবসমবায়ে স্বতন্ত্র সত্তারূপে বিদ্যমান, তেমনি পৃথিবীটা জীবসমবায়ে সত্তারূপে-জীবীরূপে বিরাজমান। তাহার উপর সৌরমণ্ডল ব্ৰহ্মাণ্ড একটা স্বতন্ত্র পুরুষ-একটা বিরাট জীব । এমনই অনন্তকোটি ব্ৰহ্মাণ্ড-জীবে এই অনন্ত আকাশ পরিপূর্ণ। অনন্তকোট ব্ৰহ্মাণ্ড-জীবপূর্ণ আকাশ আবার এক অনন্ত আত্মার আশ্রয়ে অবস্থিত। আত্মাশূন্য স্থান নাই-বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড যেন একটা বিশ্বাত্মার সাগর। সেই সাগরের একটি বুদবুদ এক একটি ব্ৰহ্মাণ্ড । স্বষ্টিতত্ত্বের এমন grand idea, এমন বিরাট ভাব আর কোন জাতির কোন শাস্ত্ৰে আছে কি না, জানি না । এ ভাব ভারতবাসীর মাথাতেই ফুটিয়া উঠিয়াছিল, ভারতবর্ষেই এখনও নিবন্ধ আছে । তন্ত্র এই সঙ্গে বলিতেছেন যে, জীবের কলেবরে যে ক্রিয়া যেমন ভাবে হইতেছে, বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে সেই ক্রিয়া তেমন ভাবেই হইতেছে ; বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে যে ক্রিয়া যেমন ভাবে হইতেছে, মনুন্যদেহেও সেই ক্রিয়া তেমন ভাবেই হইতেছে। তাই পৃথিবী একটা জীব, মেদিনীর শ্বাস প্ৰশ্বাস আছে, সুখ দুঃখবোধ আছে, কুণ্ডলী শক্তির ক্রিয়া আছে, এক অপূর্ব ভাষার সাহায্যে DDDSB DBDBD DDDSS SLDDB DBB DS uB D BBB iiBB সম্ভবপর নহে। পৃথিবী হইতে যখন নানা জীব সমূৎপন্ন হইতেছে, তখন পৃথিবী সজীব পদার্থ। যতক্ষণ সৃষ্ট্রিলীলা চলিতে থাকে, ততক্ষণ কোন জীবের, কোন পদার্থের নাশ নাই, কেবল অবস্থান্তরপ্রাপ্ত ঘটে মাত্র। যতক্ষণ শিবশক্তির লীলা চলিতে থাকিবে, ততক্ষণ কিছুরই নাশ হুইবে না। তাই তান্ত্রিক ভক্ত বলিয়া থাকেন যে, মা থাকিতে ছেলে মরে না। এই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে DDBDDE BDD DD BB gDBDBSYYEK KLtK KS BDB D S ELY r