পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাম ভাগে নাড়ীমীড়াং দক্ষিণে পিঙ্গলাং পুনঃ। সুষুম্নমধ্যতো ধ্যাত্বা কুৰ্য্যান্ধোমং যথাবিধি ।” ইহার সোজাসুজি অৰ্থ করিয়া বুঝিবার চেষ্টা করিলে বিশেষ কিছু বুঝা दांग्र भां । “নাভেী চৈতন্যরূপায়েী হবিয মনসা শ্ৰচা । জ্ঞানপ্ৰদীপিতে নিত্যমক্ষবৃত্তিং জুহোম্যহম। 泰 崇 弹 ধর্মধর্মেী হবিন্দীপ্তমাত্মাগ্নেী মনসা শ্রীচা । সুষুম্নাবত্মনা নিত্যং ব্ৰহ্মবৃত্তিং জুহোম্যহম।” সোজাসুজি এই সকল এবং পূর্বেকার শ্লোকের বাঙ্গালা এই হইবে,- আধারপদ্মে চিন্দগ্নিতে হোম করিবে। অন্তরাত্মা, পরমাত্মা, জ্ঞানাত্মা, এতাদাত্মত্ৰিতয়াত্মক চতুষ্কোণ আনন্দরূপ মেখলা ও বিন্দুরূপ ত্ৰিবলয়যুক্ত নাদবিন্দুরূপ যোনিযুক্ত চিৎকুম্ভের চিন্তা করিবে। তাহার পর এই কুম্ভের দক্ষিণে পিঙ্গল, বামভাগে ঈড়া এবং মধ্যে সুষুম্না নাড়ীর ধ্যান করিয়া ধর্ম এবং অধৰ্মরূপ কল্পিত হতবিদ্বারা যথাবিধি হোম করিবে। ইহার সোজাসুজি অর্থ করা যায় না, অথচ এই মানস পূজাকে লক্ষ্য করিয়া রামপ্রসাদ গান করিয়া গিয়াছেন যে, ‘ধর্মাধৰ্ম দুটো অজা জ্ঞানখঙ্গে বলি দিবি।” বুঝা যায় না বটে, পরন্তু গুরূপদিষ্ট হইয়া কৰ্ম করিতে থাকিলে সদ্য সদ্য ফল পাওয়া যায়। কথাটা এই,-আমরা পুরাণ তন্ত্রের ভাষা ঠিকমত বুঝিবার অধিকার হারাইয়াছি। সে সমাজ নাই, সমাজের সে পুরাতন আচার ব্যবহার নাই, রীতি পদ্ধতি নাই ; যে সকল কথা সবাই জানিত, সবাই বুঝিত, সে সকল কথা আমরা এখন বুঝিতে পারি না, ধরিতে পারি না। আজ যদি সহসা একটা বিপ্লব বাঙ্গালায় ঘটে, ইংরেজী-জানা মানুষ মাত্রেই যদি মরিয়া যায় বা অবহেলায় ও অবজ্ঞায় সমাজ হইতে বহিষ্কৃত হয়, তাহা হইলে পরে যেমন বাঙ্গালার আজকালকার সর্বজনবোধ্য কথা অনেকেই বুঝিতে পারিবে না, তেমনি তন্ত্রের সাহিত্যের দশা ঘটিয়াছে। উহা বুঝিবার বা বুঝাইবার লোক প্ৰকট নাই। তবে জগদম্বার কৃপায় মান্যবার বিচারপতি উডরফ সাহেব তন্ত্রের আলোচনা করিতেছেন, অনেকগুলি তন্ত্রের গ্ৰন্থ ইংরেজী ভাষায় প্ৰকাশ করিয়াছেন, তাই সভ্যসমাজে তন্ত্রের উল্লেখ আবার করিতে পারিতেছি । প্ৰত্যেক তান্ত্রিকেরই দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, মায়ের কৃপা হইলেই তন্ত্র প্রকট হন, ፭b”