পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাম মরণ ভব কইসণ হোই ॥ধ্রু॥ জুইসো জাম মরণ বি তইসো জীবস্তে মঅলে নাহি বিশেসে ॥ফ্র জাএধু জাম মরণ বিস্কে সো করউ রস রসাণেরে কংখা ॥ধ্রু॥ জে সচরাচর তিঅস ভমস্তি তে অজরামর কিম্পি ন হেস্তি ॥ধ্রু॥ জামে কাম কি কামে জাম সরহ ভণতি অচিন্ত সোধাম ॥ ধ্রু॥ [ লোক মিথ্যা আপনার মনে ভব ও নিৰ্ব্বাণ রচনাদ্ধারা আপনাকে বদ্ধ করিতেছে। আমরা অচিন্ত্যযোগী, কিন্তু জানি না, জন্ম মৃত্যু এবং ভব কিরূপে হয় । জন্মও যেমন, মৃত্যুও তেমনি, জীবন ও মরণে কিছুমাত্র বিশেষ নাই ; এ ভবে যাহার জন্ম ও মরণের শঙ্কা আছে, সে রস ও রসায়নের চেষ্ট করুক। যে সকল যোগীর সমস্ত চরাচরে ও স্বর্গে ভ্রমণ করে, তাহার অজর এবং অমর কিছুই হইতে পারে না । পদকর্তা সরহ বলে, জন্ম হইতে কর্ম না কর্ম হইতেই জন্ম, সে কথা স্থির করা যোগীদের পক্ষেও অচিন্তনীয় । ] মঙ্গল কাব্য যে চপল নদী পার হয়ে এল গিরি-বন-প্রাস্তর, কখনো আলোকে, কখনো অন্ধকারে, থমকি দাড়ায়ে সহসা সে যদি চাহিত পিছন ফিরে, হিমালয়-শিরে পেত কি দেখিতে কোথায় উৎস তার ? 举例 举 醬 举 নদীর উৎপত্তি-স্থল অনুসন্ধান এবং আবিষ্কার করিতে গেলে আমাদের অধিকাংশ সময়েই হতাশ হইতে হয়। যে বিরাট জলরাশি বিপুল বেগে দুই কূল প্লাবিত করিয়া সাগরাভিমুখে বহিয়া চলিয়াছে, তাহার উৎস পর্বতের বুকে গবাক্ষের স্তায় ক্ষুদ্র কুণ্ড-বিশেষ, একথা বিশ্বাস করা যায় না। তাই উৎপত্তি-স্থল বা উৎসের দ্বারা নদীর কোনই পরিচয় পাওয়া যায় না। নদীর পরিচয় তাহার গন্তব্য পথে, তাহার লোতোরঞ্জলি; ইবে, তাহার উৎসে নহে।