পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্মনৈতিক কারণে ভারতবর্ষের কয়েকটি তীর্থস্থান বাঙালীর নিকট প্রাধান্য - লাভ করিলে ভtহাদের মাহাত্ম্য-প্রচারক কাবাও রচিত হইয়াছিল । ইহাদের মধ্যে বিজয়রাম সেনের তীর্থমঙ্গল কাব্যে গঙ্গাযোগে তীর্থযাত্র প্রসঙ্গে গঙ্গার উভয় তীরস্থ গ্রামের বর্ণনা রহিয়াছে । ১৭৯৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ভূ-কৈলাসের রাজা জয়নারায়ণ ঘোষাল, কাশীখণ্ড নামক কাব্য রচনা করিয় তাহতে কাশীর বিবরণ দিয়াছেন । এই শ্রেণীর কাব্যের মধ্যে গঙ্গাৰ মাহাত্ম্য বর্ণনা করিয়াই অনেক কাব্য রচিত হয়। মহাপ্রভু শ্রীচৈ ন্যদেবেব পুরীতে বাস করার জন্য ঐ স্থান যে প্রাধান্য লাভ করে তাহার ফলে পুরীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করিয়া অসংখ্য কাব্য রচিত হয়। দ্বিজ মাধবের একটি গঙ্গণমঙ্গল কাব্য পাওয়া গিয়াছে । চণ্ডীমঙ্গলের কবি মাধবাচার্য রচিত গঙ্গামঙ্গল কাব্যে বিষ্ণুব পদে গঙ্গার জন্মলাভ হইতে আরম্ভ করিয়া ভগীরথের গঙ্গা আনয়ন ও সৌদাস রাজার কাহিনী বর্ণিত হইয়াছে। ইহা ছাড়া দ্বিজ গৌরাঙ্গ, জয়রাম, দ্বিজ কমলাকান্ত, শঙ্কণচার্য প্রভৃতির ছোট ছোট কাব্য পাওয়া গিয়াছে। দুর্গাপ্রসাদ মুখটির ‘গঙ্গাভক্তি রঙ্গিনী’ই এ শাখার শ্রেষ্ঠ কাব্য। ইহাতে কাহিনীর নূতনত্ব এবং বর্ণনায় কবিত্ব পাওয়া যায় । পুরীর মাহাত্ম্য প্রচারক কাব্যগুলির মধ্যে মহাভারতকার কাশীরামের ভ্রাত গদাধরের জগন্নাথ মঙ্গলই প্রাচীনতম ; ইহা স্কন্দ পুরাণের উৎকল খণ্ডকে অতুসরণ করিয়া লিথিত । দ্বিজ মুকুন্দের জগন্নাথবিজয়, দ্বিজ দয়ারামের জগন্নাথ মহাত্ম্য, বিশ্বস্তর দাসের জগন্নাথমঙ্গল কাব্য পাওয়া গিয়াছে । এই সকল কাব্যের রচনা কাল অধিকাংশক্ষেত্রে জানা যায় না । এগুলি ধমগত. কারণেই প্রচলিত , কাব্যাংশে অধিকাংশগুলিই নিতান্ত অচল । মহাভারত মহাভাবতেই কথা অমৃত সমান । কাণারাম দাস ভণে শুনে পুণ্যবান ॥ মহাভারতের কাহিনীকে অমৃতের ন্তায় সুধাময় পবিত্র ও মৃত-সঞ্জীবনী ঘোষণা করিয়া এবং শ্রোতামাত্রকেষ্ট পুণ্যে অধিকাৰী বলিয়া কবি কাশীরাম দাস কিছুমাত্র অতু্যক্তি অথবা অহংকার প্রকাশ করেন নাই ; কাব্যে বর্ণিত বিষয়ের ও রসবস্তুর যথাযথ মূল্য নির্ধারণ ক'রয়া’ছন মাত্র। সংস্কৃত মহাভারতে ব্যাসদেব প্রাচীন ভারতের গৌরবময় যুগের একটি অধায় চিত্রিত কবিয়াছেন ; বীরত্ব, স্বায়ুধম, পাপপুণ্যের একটা সাধারণ বুদ্ধগ্রাহ বিচার করিয়াছেন। আর বাঙালী কবিগণ tዎ %