পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ネ? বাঙ্গলার ইতিহাস । ** *; নিৰ্ম্মাণ করিয়া ইহার এখন এক প্রকার অজেয় হইয়া উঠিল। সিবষ্টিয়ান গঞ্জালে এই সময়ে ইহাদের অধিনায়ক হন। ১৬০৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহার সন্দীপও অধিকার করিয়া বসিল ; ইহাদের প্রতাপ ও উপদ্রবে উপকূলভাগ ত্রস্ত হইয়া পড়িল । ১৬১০ খ্ৰীষ্টাব্দে আরাকানরাজ ইহাদের সাহায্যে বাঙ্গলা আক্রমণে অগ্রসর হইয়া নোয়াখালিতে পরাভূত হইলেন। ইহাতে ও ফিরিঙ্গী দস্থ্য ও মগগণের উৎপাত নিবৃত্ত হইল না। উপদ্রবে নদীমুখের কয়েকটি দ্বীপ জনশূন্ত অরণ্যমাত্রে পরিণত হইল। স্ববাদার ইসলাম খাঁ সুদূর রাজমহল হইতে এই বিষম উপদ্রবের দমন অসম্ভব দেখিয়া ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করিতে বাধ্য হইলেন। আরও কিছু কাল মগ ও ফিরিঙ্গীর উৎপাত চলিয়াছিল। অতঃপর হুবাদার ইব্রাহিম খার সুশাসনে কিয়ংকালের জন্ত দেশে শান্তি স্থাপিত হয়। মগগণের উপদ্রব নিবারণের জন্ত উপকূলভাগে নেী সৈন্ত স্থাপিত হইল ; আসামীগণও বাঙ্গল আক্রমণ করিয়া পরাভূত হইল। এখন দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব বঙ্গের প্রজাবৰ্গও নিরুপদ্রবে নিজ নিজ ব্যবসারে মনোযোগ করিবার অবকাশ পাইল। কৃষি ও বাণিজ্যের উন্নতিসাধন হইল। বঙ্গের শিল্পজাত দ্রব্যের সুঘশ সৰ্ব্বত্র বিস্তৃত হইল। ঢাকার সুচার মসলিন এবং মুর্শিদাবাদ ও মালদহের উৎকৃষ্ট রেশমী বস্ত্র বাদশাহী দরবারে সমাদৃত হইতে লাগিল । কিন্তু শান্তি বহু দিন অব্যাহত রহিল না। যুবরাজ শী জাহান বাদশাহের সহিত মনোবাদ করিয়া বাঙ্গলায় আসিয়া ইব্রাহিম খাকে পরাজিত ও নিহত করিয়া স্বয়ং বঙ্গরাজ্য অধিকার করিলেন। দুই বৎসর পরে পিতা পুত্রে বিবাদ মিটিল, কিন্তু বঙ্গে অশান্তির স্রোত প্রবাহমান রহিয়া গেল। শ জাহানের রাজ্যকালে বঙ্গের অনেক স্থানে মোগলের নবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হইল। চট্টগ্রাম আরাকানরাজের কবলমুক্ত করিয়া ইসলামাবাদ নামে বাদশাহী অধিকারভুক্ত করা হইল। রাজপুত্র শী সুজার শাসনসময়ে বঙ্গের অবস্থা সমধিক উন্নত হইল। কিন্তু শী জাহানের শেষ দশায় যখন তাহার কৃতী পুত্রেরা বাদশাহী সিংহাসন লইয়। তুমুল কলহ আরম্ভ করিলেন, সেই সমরে এ দেশেও পুনরায় বিপ্লবের স্বত্রপাত হইয়া থাকিল। সুজা বাঙ্গল হইতে সসৈন্তে দিল্লী অভিমুখে অগ্রসর হইয়া পথে কাশীর যুদ্ধে দারার পুত্র সোলেমানের হস্তে পরাভূত হইয়া পুনমূৰ্ষিক হইতে বাধ্য হইলেন। কিন্তু যখন দারার পরাজয় ও আরঙ্গজেবের হস্তে মুরাদের বন্দী হুইবার সংবাদ