পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় অং বৈষ্ণবের বিচার । زگري দ্বিতীয় জয়সিংহের সময়ে, বৃন্দাবন ও জয়পুরবাসী বাঙ্গালী বৈষ্ণবগণের সহিত তদেশীয় পণ্ডিতগণের স্বকীয়া ও পরকীয়া মত লইয়। বিচার হয়। পরকীয়াবাদী বঙ্গদেশীয়গণ বিচারে অসমর্থ হইয়া (সিদ্ধান্ত বিচার না করিয়া ), পরকীয়া মতে “দস্তথং” করিয়া দেন। পরে তাহদের প্রার্থনামতে পরকীয়াধৰ্ম্মের অধিকারী বঙ্গদেশীয় বৈষ্ণবপ্রবরগণের সহিত বিচারের জন্য জয়সিংহ স্বীয় সভাপণ্ডিত দিগ্বিজয়ী কৃষ্ণদেব ভট্টাচাৰ্য্যকে বঙ্গদেশে প্রেরণ করেন। বাঙ্গালী বৈষ্ণবগণ জনৈক মনসবদার (সেনানী ) সাহায্যে তাহাকে বাঙ্গলায় লইয়। আইসেন। পথিমধ্যে প্রয়াগ ও কাশীর বৈষ্ণবগণও স্বকীয়ায় দস্তখত করিতে বাধ্য হইলেন। বঙ্গেও সৰ্ব্বত্র দিগ্বিজয়ীর জয়লাভ হইতে লাগিল । অতঃপর প্রধান বৈষ্ণব-পাট শ্রখণ্ড ও জাজিগ্রামে ( ১ ) আসিয়া উক্তরূপে স্বীকারপত্রের দাবী করিলে, গোস্বামিগণ বলিলেন, বিনা বিচারে পূর্ব মত ত্যাগ করিতে পারিব না। আমরা “শ্রীচৈতন্ত মহাপ্রভূর মতাবলম্বী, অতএব বিচারে যে ধৰ্ম্ম স্থাই হয় তাহাই লইব । এই মত করার হইল বিচার মানিলাম তাহাতে পাতসাই শুভ শ্ৰীযুক্ত নবাব জাফর র্থ সাহেব নিকট দরখাস্ত হইল তিহো কহিলেন ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বিনা তজবিজ হয় না অতএব বিচার কবুল করিলেন সেই মত সভাসদ হইল ক্রপাঠ নবদ্বীপের শ্ৰীকৃষ্ণরাম ভট্টাচাৰ্য্য ও তৈলঙ্গদেশের ত্রীরামজয় বিদ্যালঙ্কার সোণার গ্রামের ত্রীরামরাম বিদ্যাভূষণ ও শ্ৰীলক্ষ্মীকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য গয়রহ শ্ৰীশ্ৰীকাশীর শ্রীহরানন্দ ব্রহ্মচারী ও নয়ানন্দ ভট্টাচাৰ্য্য সাং মহলা”। এই সভায় শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য ঠাকুরের বংশধর পণ্ডিতপ্রবর রাধামোহন ঠাকুরের সহিত শাস্ত্রীয় বিচারে দিগ্বিজয়ী পরাজিত হইয়া পরকীয়া ধৰ্ম্মমত ও তাহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিলেন । পুনরায় বৃন্দাবনাদি স্থানে পরকীয়া ধৰ্ম্মের জয়পতাকা উড়িল, চাণ্ড গারা গেল' )। পশ্চিমাঞ্চলের যে সমস্ত বাঙ্গালী বৈষ্ণব স্বকীয়া মত স্বীকারে বাধ্য হইয়াছিলেন, তাহারা এক্ষণে পরকীয়াবাদী বৈষ্ণবাচার্য্যগণের পঞ্চ-পরিবার হইতে খারিজ হইয়া এক ইস্তফাপত্র লিখিয়া দিলেন, ( ১১২৫ সাল, ১৭ই ফাল্গুন । ( ২ ) ( ) এই দুইটি স্থানই কাটোয়ার নিকটবৰ্ত্তা। ঐখণ্ড নরহরি সরকার ঠাকুরের পাঠ। জাজি গ্রাম ও মালিহাটীতে শ্ৰীনিবাস ঠাকুর বংশীয়গণের বাস ছিল। (২) কম্বিত দলীল মীর জাফর খাঁর সময়ের বলিয়া অনেকের ধারণা ছিল। সৌভাগ্যক্রমে প্রথম সংস্করণের এই অংশ মুদ্রাঙ্কণের সময়েই শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রস্থদের ত্রিবেদী মহাশয়ের