পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ●8 বাঙ্গাল সাহিত্য । যে মহাভারতের বাঙ্গালাঅনুবাদ শেষকরিতে পারিলেন না ! নিস্ব কাশীরামদাস, বোধহয়, খড়োঘরের পিড়ায় ছেড়া মাছুরে বসিয়া সেই প্রকাণ্ড মহাভারতের ছন্দোবন্ধে বাঙ্গালা অনুবাদ করিয়াগিয়াছেন । তাদৃশ বৃহৎকাৰ্য্যসম্পাদনে বোধহয় কেবল কথকের মুখে কথাশ্রবণই তাহার প্রধান সাহায্য হইয়াছিল। ' : যাহাহউক এস্থলে ইহাও উল্লেখকরা আবশ্বক যে, কথকদিগের হইতেও বাঙ্গালাভাষার অনেক উন্নতি হইয়াছে। তাহারা পুরাণের সংস্কৃতশব্দসকল চলিতভাষায় যোগকরিয়া ব্যাখ্যা করেন। ঐ সকল ব্যাখ্যা গীতস্বরসহকৃত হওয়ায় সাধারণের মনে অঙ্কিতহইয়াযায়, সুতরাং সেই সকল শব্দ ক্রমে ক্রমে ভাষার মধ্যেই ব্যবহৃতহইয়া ভাষার পুষ্টিসম্পাদন করে। ফলতঃ কথকতার প্রচার না থাকিলে কৃত্তিবাসের রামায়ণ ও কাশীরামদাসের মহাভারত বোধহয় আমরা কখনই প্রাপ্তহইতামনা । কথকতার ব্যবসায়ও আমাদের দেশে নূতন নহে—কবিকঙ্কণের পূর্বেও উহার প্রাচুর্ভাব ছিল। পূর্বকালীন লোকের কথকদিগের বিলক্ষণ সমাদর ও গৌরব করিতেন । গৌরবের কারণও ছিল ; যেহেতু তৎকালে কথকদিগের মধ্যে অনেকে মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত ছিলেন। কৃষ্ণহরি, গদাধরশিরোমণি, রামধনতঙ্কবাগীশ প্রভৃতি কথকদিগের নাম লোকে অদ্যাপি ভক্তিসহকারে উল্লেখ করিয়াথাকে । সম্প্রতি