পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミや বাঙ্গালা সাহিত্য । বোধ করিবেন; কিন্তু তাহারা কিয়ৎক্ষণ অনুশীলন করিয়া দেখিলেই বুঝিতে পরিবেন যে, তাহাঙ্গের সস্তানের ষে ভাষা ব্যবহার করিতেছেন, তাহ তাহাদিগের সেই পূর্বব্যবহৃত ভাষাই—অন্য কিছু নহে; তবে সেই ভাষার শরীরে অনেকটা পরিবর্ত ঘটিয়াছে এইমাত্র—মূল প্রকৃতির কিছু মাত্র বিপৰ্য্যয় হয় নাই। জগতীস্থ সমস্ত বস্তুর স্থায় ভাষাও নিয়ত পরিবর্তশীল। সেইপরিবর্তের অবস্থা বাল্য, যৌবন ও প্রৌঢ় নামে অভিহিত হইয়াথাকে। বাঙ্গালার উৎপত্তিকাল হইতে মদ্যপর্ষ্যস্ত সময়কে ভাগত্রয়ে বিভক্ত করিয়৷ তদনুসারে ভাষার বাল্য, যৌবন ও প্রৌঢ় অবস্থার নির্দেশকরা অসঙ্গত বোধহয়না । অামাদিগের বিবেচনায় প্রথম হইতে চৈতন্যচন্দ্রের উৎপত্তির পূর্ব পৰ্য্যন্ত অর্থাৎ ১৪০৭ শক [ ১৪৮৫ খৃষ্ট অব্দ ] পৰ্য্যন্ত এই সময়কে আদ্যকাল; তৎপরে চৈতষ্ঠের সময় হইতে ভারতচন্দ্ররায়ের পূর্ব পর্য্যন্ত অর্থাৎ ১৬৭৪ শক [ ১৭৫২ খৃঃ অঃ ] পৰ্য্যন্ত সময়কে মধ্যকাল এবং তৎপরে ভারতচন্দ্রের সময় হইতে অদ্য পৰ্য্যন্ত সময়কে ইদানীন্তনকাল বলা সঙ্গত হইতে পারে। ঐ তিনকালের বাঙ্গালাভাষার অবস্থা যথাক্রমে বাল্য, যৌবন ও প্রৌঢ়রুপে নির্দেশ করিতে পারাযায় । এক্ষণে আমরা প্রথমতঃ বাঙ্গালার সেই বাল্যাবস্থার কিঞ্চিৎ বিবরণ লিখিতে প্রবৃত্ত হইলাম ।