পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*}5 বাঙ্গালা সাহিত্য । চণ্ডীদাসের কল্পনাশক্তি বিলক্ষণ দেখিতে পাওয়াযায়। মানবতী রাধাসমীপে স্ত্রীকৃষ্ণের নাপিতী, মালিনী,বিদেশিনী, বণিকৃপত্নী প্রভৃতি বেশে গমনবিষয়ক যে সকল বর্ণনা আছে, তাহাতে এবং অন্যান্যস্থলেও কল্পনাশক্তির বিলক্ষণ প্রাচুর্য্য লক্ষিত হয়। কিন্তু বিদ্যাপতির গীতাবলীতে যেরূপ ভাবগাম্ভীৰ্য্য ও বচনবৈচিত্র্য আছে, ইহার গীতে সেরূপ অতি কম পাওয়াযায় । ইহঁর রচনা সাদাসিদ সামান্য ভাব লইয়াই অধিক-বিশেষতঃ প্রায় সকল গীতই নিতান্ত আদিরসসম্পত্ত হওয়াতে প্রীতিকর বোধহয়না । কিন্তু তাহা হইলেও তাহাকে একজন প্রধান কবি বলিয়া অবশ্য গণনাকরিতেহইবে । কারণ তিনি যে সময়ের লোক, সে সময়ে ঐরুপ ছন্দোবন্ধে রচনা করা সাধারণ ক্ষমতার কার্য্য নহে । তিনি তৎকালে অপরের অনুকরণ করিতে অধিকপান নাই, যাহা কিছু রচনা করিয়াছেন, তাহাই তাহার স্বাভাবিকীশক্তিসস্তুত বলিয়া বোধহয় । তাহার রচিত যে সকল গীত উদ্ধত হইয়াছে তৎপাঠেই পাঠকেরা এবিষয়ের প্রমাণ পাইবেন । বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসের রচনা যে, খুব প্রাচীন তদ্বিষয়ে কোন সংশয়ই নাই । কিন্তু ইহাই বাঙ্গালার আদিরচনা—অর্থাৎ আদ্যকালে এইদুইজন ভিন্ন আর কেহই কোন বিষয়ে কোন রচনা করেন নাই—তাহ বলিতে পারা