পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

む8 বাঙ্গাল সাহিত্য । সংক্রান্ত বহুলগ্রন্থ রচনাকরেন। তাহাদিগের মধ্যে এক রূপগোস্বামীই ১২১৩ খানি সংস্কৃত গ্রন্থ রচনাকরিয়াছিলেন, তন্মধ্যে ২ খানি উৎকৃষ্ট নাটক, ১ খানি অলঙ্কার ও ১ খানি ব্যাকরণ অাছে। তদ্ভিন্ন সনাতনগোস্বামী, জীবগোস্বামী, গোপালভট্ট, কর্ণপুর প্রভৃতি র্তাহার শিষ্য প্রশিষ্যদিগের বিরচিত বহুল গ্রন্থ বর্তমান আছে । ফলতঃ চৈতন্তের উৎপত্তি হইতে কিছুদিন পর্য্যন্ত সময়কে বাঙ্গালাদেশের সৌভাগ্যের কাল বলিয়া গণনাকরিতে হইবে। ঐ সময়ে গৌড়ের বাদসাহ হোসেন্সার সুবিচারে প্রজালোক অনেক নিরুপদ্রব ছিল; ঐ সময়েই তঙ্ক কেশরী রঘুনাথ শিরোমণি ফুৰিগাহ ধিষণ-শক্তিসহকারে স্যায়শাস্ত্রের নূতনরূপ পন্থা আবিষ্কৃত করেন, এবং ঐ সময়েই স্মার্ত রঘুনন্দন ভট্টাচাৰ্য্য মহাপাণ্ডিত্যসহকারে তৎকালপ্রচলিত ধৰ্ম্মশাস্ত্রের ব্যবস্থাসকল বিপৰ্য্যস্ত করিয়াদিয়া অষ্টাবিংশতিতত্ত্ব নামক অভিনবপ্রকার স্মৃতিসংগ্রহের প্রণয়নকরেন। অধিক কি বাঙ্গালাদেশে সংস্কৃতশাস্ত্রের যাহা কিছু উন্নতি হইয়াছে, তাহ ঐ সময়েই হইয়াছে বা হইবার সূত্রপাত হইয়াছে, এ কথা অবশ্য বলাযাইতেপারে। বাঙ্গালা ভাষার পক্ষে বলিতে গেলে ঐ সময়কেই ইহার উৎপত্তিকাল বলিলেও বেশি অসঙ্গত হয়না । আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে, পূর্বোক্তরূপপদাবলীভিন্ন আদ্যকালেয় একখানিও গ্রন্থ দেখিতে পাওয়াযায়না । চৈতন্তের