পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যকাল চৈতন্যভাগবত . ৬৩ শিরোমুগুন, ‘শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য’ নামগ্রহণ, লীলাচলে গমন, বৃদ্ধি ও পরিশেষে লীলাচলে গিয়া পুনরবস্থান প্রভৃতি অনেক বিষয় লিখিত আছে। কিন্তু কোন স্থানে চৈতন্যের মৃত্যু বর্ণিত হয়নাই—বোধহয় ভাগবতেরা তাহা উল্লেখ করিতে ইচ্ছা করেন না বলিয়া সে অংশ ত্যাগকরা হইয়াছে। গ্রন্থকার সংস্কৃতজ্ঞ ছিলেন । পুরাণাদি অনেক গ্রন্থ হইতে অনেক বচন মধ্যে মধ্যে উদ্ধত কীয়া দিয়াছেন। তিনি বড় গোড়া বৈরাগী ছিলেন । নবদ্বীপের ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের চৈতন্যকে অবতার বলিয়া মানিতেন না, এজন্য তিনি যেখানে যে পাইয়াছেন, সেইখানেই তাহাদিগের প্রতি কটুক্তি করিয়াছেন । সময়ে সময়ে তিনি ক্রোধে অধীর হইয়া— এত পরিহারেও যে পাপী নিন্দ করে । তবে নাথি মার তার শিরের উপরে { ইত্যাদিরূপে সাধুজনবিগছিত প্রণালী অবলম্বন করিয়াও গালি দিতে ক্রটি করেন নাই। এমন কি বোধহয় তাহার হস্তে যদি কোন রাজশক্তি থাকিত, তাহাহইলে তিনি এক দিনেই চৈতন্তোপাসক ভিন্ন সকললোকেরই প্রাণসংহার করিতেন । তিনি নিজে যেরূপ উদ্ধত ছিলেন, বর্ণিত নায়ককেও সময়ে সময়ে সেইরূপ উদ্ধত করিয়া তুলিয়াছেন। তিনি যখন গৌরাঙ্গকে সঙ্কীর্তনের প্রতিষেধকারী নবদ্বীপস্থ কাজীর ভবনে উপস্থিত করিয়াছেন, তখন গেী