পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯অ
বাঙ্গালার ইতিহাস
১৩৯

ছিল, তাহাদের বিনাশ করেন। আবায় দূত প্রেরণ করিয়া এরূপ অনুষ্ঠানের হেতু জিজ্ঞাসা করাতে, তিনি অত্যন্ত গর্ব্বিত বাক্যে এই উত্তর দিলেন যে ঐ উপদ্বীপ আমার অধিকারে থাকিবেক; ইহার অন্যথা হইলে আমি বাঙ্গলা আক্রমণ করিব।

 এই সমস্ত অত্যাচার দেখিয়া গবর্ণর জেনেরল বাহাদুর, ১৮২৪ খৃঃ অব্দের ৫ই মে, ব্রহ্মাধিপতির সহিত যুদ্ধ ঘোষণা করিলেন। ইঙ্গরেজেরা, ১১ই মে, ব্রহ্মরাজ্যে সৈন্য উত্তীর্ণ করিয়া রাঙ্গুণের বন্দর অধিকার করিলেন। তৎপরেই আসাম, আরাকান, ও মরগুই নামক উপকুল তাঁহাদের হস্তগত হইল। তদনন্তর ইঙ্গরেজ দিগের সেনা ক্রমে ক্রমে আবা রাজধানী অভিমুখে গমন করিল এবং প্রয়াণ কালে, বহুতর গ্রাম নগর অধিকার পূর্ব্বক, ব্রহ্মরাজের সেনাদিগকে পদে পদে পরাজিত করিল। ১৮২৬ খৃঃ অব্দের আরম্ভে, ইঙ্গরেজদিগের সেনা অমরপুরের অত্যন্ত প্রত্যাসন্ন হইলে, রাজা নিজ রাজধানী রক্ষার্থে ইঙ্গরেজদিগের প্রস্তাবিত পণেই সন্ধি করিতে সম্মত হইলেন। অনন্তর এক সন্ধি পত্র প্রস্তুত হইল; ঐ পত্র যান্দাবু সন্ধিপত্র নামে প্রসিদ্ধ আছে। ভদ্দ্বারা ব্রহ্মাধিপতি ইঙ্গরেজদিগকে মণিপুর, আসাম, আরাকান ও সমুদায় মার্ত্তাবান উপকুল প্রদান করিলেন এবং, যুদ্ধের ব্যয় ধরিয়া দিবার নিমিত্ত, এক কোটি টাকা দিতে সম্মত হইলেন।

 যৎকালে ব্রহ্মদেশীয়দিগের সহিত যুদ্ধ হইতেছিল, ঐ সময়ে ভরতপুরের অধিপতি দুর্জ্জনশালের সহিতও