পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১ অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
১৩

 সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যেরা, ঐ জলার সম্মুখে উপস্থিত হইয়া, সকতজঙ্গের সৈন্যের উপর গোল চালাইতে লাগিল। বড় বড় কামানের গোলাতে তাঁহার সৈন্য ছিন্ন ভিন্ন হইলে, তিনি, নিতান্ত উন্মত্তের ন্যায়, স্বীয় অশ্বরোহদিগকে জল পার হইয়া আক্রমণ করতে আজ্ঞা দিলেন। তাহারা অতিকষ্টে কদ্দন পার হইয়া শুষ্ক স্থানে উপস্থিত হইবামাত্র, সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যেরা অতি ভয়ানক রূপে তাহাদিগকে আক্রমণ করিল।

 ঘোরতর যুদ্ধ হইতেছে, এমত সময়ে কতজঙ্গ স্ত্রী সম্ভোগার্থে শিবির প্রবেশ করিলেন এবং সুরাপান করিয়া এমত মত্ত হইলেন যে আর সোজা হইয়া বসিতে পারেন। তাঁহার সেনাপতিরা,পশ্চাৎ পশ্চাং আসিয়া,ওঁহাকে রণস্থলে উপস্থিত থাকিবার নিমিত্ত অত্যন্ত অনুরোধ করিতে লাগিল। পরিশেষে, ধরিয়া থাকিবার নিমিও এক ভৃত্য সমেত, তাঁহাকে হস্তিতে আরোহণ করাইয়া, 'জলার প্রান্ত ভাগে উপস্থিত করিল। তথায় উপস্থিত হইবামাত্র, শত্রুপক্ষ হইতে এক গোলা আসিয়া তাহার কপালে লাগিল; তাহাতে তিনি তৎক্ষণাঃ পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হইয়া হাওদার উপরে শয়ন করিলেন। সৈন্যেরা উহাকে প্রাণ ত্যাগ করিতে দেখিয়া শ্রেণীভঙ্গ পূর্বক পলায়ন করিল। দুই দিবস পরে, নবাবের সেনাপতি মোহনলাল পূর্ণিয়া অধিকার করিলেন এবং তথাকার ধনাগারপ্রাপ্ত অ্যানাধিক নবতি লক্ষ টাকা ও সকতঙ্গের যাবতীয় অন্তঃপুরিকাগণ মুরশিদাবাদে পাঠাইয়া দিলেন।

 সিরাজউদ্দৌলার, যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইতে, সাহস