পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
বাঙ্গালার ইতিহাস।
২ অ

দাসূচক পরিচ্ছদ পুরস্কার পাঠাইতেন। এক দিন রাগে অন্ধ হইয়া ক্লাইবের পত্র ছিড়িয়া ফেলিতেন, দ্বিতীয় দিন, বিনয় ও দীনতা প্রকাশ করিয়া তাঁহাকে পত্র লিখিতেন।

 ইঙ্গরেজের বুঝিতে পারিলেন, যাবৎ এই দুর্দ্দান্ত বালক বাঙ্গালার শাসনকর্তা থাকিবেক, তাবৎ কোন প্রকারেই ভদ্রস্থতা নাই। অতএব, তাহারা কি উপায়ে নিরাপদ হইতে পারেন, মনে মনে এই বিষয় আন্দোলন করিতেছেন, এমত সময়ে দিল্লীর সম্রাটের কোষাধ্যক্ষ পরাক্রান্ত শেঠবংশীয়েরা,নবাবের সর্ব্বাধিকারী রাজা রায়। দুর্লভ, সৈন্যদিগের ধনাধ্যক্ষ সেনাপতি মিরজাফর এবং উমিচাঁদ ও খোজাবাজীদ নামক দুই জন ঐশ্বর্যশালী বণিক ইত্যাদি কতকগুলি প্রধান লোক তাঁহাদিগের নিকট এক পত্র প্রেরণ করিলেন।

 সিরাজউদ্দৌলা নিষ্ঠুরতা ও স্বেচ্ছাচার দ্বারা তাঁহাদের অন্তঃকরণে অত্যন্ত বিরগি উৎপাদন করিয়াছিলেন। বিশেষতঃ, তাঁহারা আপনাদিগের ধন, মান, জীবন সর্ব্বদাই সঙ্কটাপন্ন বোধ করিতেন। পূর্ব্ব বৎসর, সকতজঙ্গকে সিংহাসনে নিবেশিত করিবার নিমিত্ত, সকলে একবাক্য হইয়াছিলেন। কিন্তু তাঁহাদের সে উদ্যোগ বিফল হইয়া যায়। এক্ষণে তাঁহারা,সিরাজউদ্দৌলাকে রাজ্যভ্রষ্ট করিবার নির্মিত্ত প্রাণপর্যন্ত পণ করিয়া, ইঙ্গরেজদিগের নিকট সাহায্য প্রার্থনায় গোপনে ঐ পত্র প্রেরণ করেন।

  ইঙ্গরেজেরা বিবেচনা করিলেন আমরা সাহায্য না করিলেও এই রাজবিপ্লব ঘটিবেক, সাহায্য করিলে