পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৬৫

 মুঙ্গের পরিত্যাগের পর দিন, তাঁহার সৈন্য রেবতীরে উপস্থিত হইল। সেই স্থানে তাঁহার শিবির মধ্যে হঠাৎ অত্যন্ত গোলযোগ উপস্থিত হইল। সকল লোকই নদী পার হইয়া পলাইতে উদ্যত। দৃষ্ট হইল কয়েক ব্যক্তি এক শব লইয়া গোর দিতে যাইতেছে। জিজ্ঞাসা করাতে কহিল, ইহা সৈন্যধ্যক্ষ গর্গিন খাঁর কলেবর। বিকালে তিন চারি জন মোগল তাঁহার তাঁবুর মধ্যে প্রবেশ করিয়া তাঁহার প্রাণ বধ করে। এইরূপ প্রচার করিয়া দিয়াছিল যে তাহারা সেনাপতির নিকট পূর্ব্বপ্রাপ্য বেতন প্রার্থনা করিতে যায়; তিনি তাহাদিগকে হাঁকাইয়া দেওয়াতে, তাহারা তরবারি বহিষ্কৃত করিয়া তাঁহাকে বধ করে। কিন্তু সে সময়ে তাহাদিগের মাহিয়ানা কিছুই বাকী ছিল না। নয় দিবস পুর্ব্বে তাহারা বেতন পাইয়াছিল।

 যাহা হউক, ইহা এক প্রকার নিশ্চয় বোধ হইতেছে যে মীরকাসিম স্বীয় সেনাপতি গর্গিন খাঁর প্রাণবধ করিবার নিমিত্ত ছলপুর্ব্বক তাহাদিগকে পাঠাইয়া দেন। গর্গিনের খোজা পিক্রস নামে এক ভ্রাতা কলিকাতায় থাকিতেন। বান্‌সিটার্ট ও হেষ্টিংস সাহেবের সহিত তাঁহার অত্যন্ত প্রণয় ছিল। পিক্রস এই অনুরোধ করিয়া গোপনে গর্গিনকে পত্র লিখিয়াছিলেন যে তুমি নবাবের কর্ম্ম পরিত্যাগ কর; আর যদি সুযোগ পাও তাঁহাকেও রুদ্ধ করবে। নবাবের প্রধান চর, এই বিষয়ের সন্ধান পাইয়া, রাত্রি দুই প্রহর একটার সময়ে, আপন প্রভুকে এই বলিয়া সাবধান করিয়া দেয়, যে আপনকার সেনা-