পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
বাঙ্গালার ইতিহাস।

পুত্রের নাম বিষ্ণুগুপ্ত। বিষ্ণুগুপ্তের পত্নীর নাম ইজ্জাদেবী এবং তাঁহার পুত্রের নাম জীবিতগুপ্ত। এই দ্বিতীয় জীবিতগুপ্তের রাজ্যকালে বরুণিকা (বর্ত্তমান নাম দেওবনারক) গ্রাম বরুণবাসী মন্দিরদেবতার পূজার নিমিত্ত প্রদত্ত হইয়াছিল। এই গ্রাম পূর্ব্বে বালাদিত্যদেব অর্থাৎ সম্রাট্ নরসিংহগুপ্ত কর্ত্তৃক প্রদত্ত হইয়াছিল, তৎপরে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইহা শর্ব্ববর্ম্মা ও অবন্তীবর্ম্মা কর্ত্তৃক বরুণবাসী দেবতার পূজার্থ প্রদত্ত হইয়াছিল[১]। শর্ব্ববর্ম্মা ও অবন্তীবর্ম্মা উভয়েই মৌখরী-বংশজাত। শর্ব্ববর্ম্মা মৌখরিরাজ ঈশানবর্ম্মার পুত্র[২] এবং দামোদরগুপ্তের সমসাময়িক ব্যক্তি। দ্বিতীয় জীবিতগুপ্তের পরবর্ত্তী গুপ্তবংশজাত অন্য কোন নরপতির নাম অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই। কোন্ সময়ে দ্বিতীয় জীবিতগুপ্তের মৃত্যু হইয়াছিল তাহা বলিতে পারা যায় না। অনুমান হয় খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষপাদে অথবা অষ্টম শতাব্দীর প্রথম পাদে মগধের গুপ্তরাজবংশের অধিকার লোপ হইয়াছিল। বাঙ্গালাদেশের নানাস্থানে স্কন্দগুপ্তের মুদ্রার অনুরূপ সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে। যশোহর জেলায় মহম্মদপুর গ্রামে এই জাতীয় একটি মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৩]। ঢাকার নিকটে আর একটি মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৪]। ফরিদপুরে কোটালিপাড় গ্রামে জনৈক কৃষকের নিকটে এই জাতীয় আর একটি মুদ্রা আছে[৫]। ১৯১০ খৃষ্টাব্দে কোটালিপাড় গ্রামে এই জাতীয় আর তিনটি মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল। বগুড়া জেলায়

  1. Corpus Inscriptionum Indicarum, Vol. III, pp. 225-26.
  2. Ibid, p. 220.
  3. Journal of the Asiatic Society of Bengal, 1852, p. 401, pl. xii. 10.
  4. Ibid, New Series, Vol. VI, p. 141.
  5. Ibid, p. 141.