পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম পরিচ্ছেদ।
২৩১

তাঁহার পঞ্চদশ রাজ্যাঙ্কে মগধে বিক্রমশিলা-বিহারে একখানি ‘অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা লিখিত হইয়াছিল[১]। দ্বিতীয় গোপালদেবের মৃত্যুর পরে তৎপুত্র দ্বিতীয় বিগ্রহপাল গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয় গোপালদেবের রাজ্যের শেষভাগে অথবা দ্বিতীয় বিগ্রহপালের রাজ্যকালে চন্দেল্লবংশীয় যশোবর্ম্মা গৌড়দেশ আক্রমণ করিয়াছিলেন। খজুরাহো গ্রামে আবিষ্কৃত যশোবর্ম্মদেবের শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, তিনি ১০১১ বিক্রমাব্দের (৯৫৪ খৃঃ অঃ) পূর্ব্বে গৌড়, কোশল, কাশ্মীর, মিথিলা, মালব, চেদী, কুরু ও গুর্জ্জর-রাজগণকে পরাজিত করিয়াছিলেন[২]। অনুমান হয় দ্বিতীয় বিগ্রহপালের রাজ্যকালেই পালবংশীয় রাজগণ গৌড়দেশের অধিকারচ্যুত হইয়াছিলেন। কারণ, ৮৮৮ শকাব্দে (অর্থাৎ ৯৬৬ খৃঃ অঃ) কাম্বোজবংশীয় জনৈক নরপতি কর্ত্তৃক একটি শিবমন্দির নির্ম্মিত হইয়াছিল[৩]। ইতিপূর্ব্বে দেবপালদেবের রাজ্যকালে গৌড়রাজ্য একবার কাম্বোজ জাতি কর্ত্তৃক আক্রান্ত হইয়াছিল[৪]। শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ অনুমান করেন যে,

  1. পরমেশ্বরপরমভট্টারকপরমসৌগত মহারাজাধিরাজশ্রীমদ্গোপালদেব প্রবর্দ্ধমানকল্যাণবিজয়রাজ্যেত্যাদি সম্বৎ ১৫ অস্মিনে দিনে ৪ শ্রীমদ্বিক্রমশীলদেববিহারে লিখিতেয়ং ভগবতী।
     —Journal of the Royal Asiatic Society, 1910, pp. 150-51.
  2. গৌড়ক্রীড়ালতাসিস্তুলিতখসবলঃ কোশলঃ কোশলানাং
    নশ্যৎকাশ্মীরবীরঃ শিথিলিতমিথিলঃ কালবন্মালবানাং।
    সীদৎসাবদ্যচেদিঃ কুরুতরুষু মরুৎসংজ্বরো গূর্জ্জরাণাং
    তস্মাত্তস্যাং স যজ্ঞে নৃপকুলতিলকঃ শ্রীযশোবর্ম্মরাজঃ॥ ২৩
    —খজুরাহো গ্রামে লক্ষ্মণজি মন্দিরের শিলালিপি,—Epigraphia Indica, Vol. I. p. 126.

  3. Journal & Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, New Series, Vol. VII, p. 690.
  4. ২০৮ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।