দীক্ষিত করিয়া মুসলমানগণ যখন বাহ্লীক (বলখ্), কপিশা (কাবুল) ও গান্ধারের দিকে অগ্রসর হইলেন, আর্য্যাবর্ত্ত তখনও সুষুপ্তিমগ্ন। বাহ্লীক ও কপিশা অধিকৃত হইল, আফগানিস্থানের পার্ব্বত্য উপত্যকাসমূহে মহারাজাধিরাজ কণিষ্কের বংশধরগণের অধিকার লুপ্ত হইল। শত শত বৌদ্ধকীর্ত্তিসুশোভিত শস্যশ্যামল গান্ধার ও কপিশা মরুভূমিতে পরিণত হইল, কিন্তু তখনও বৎসরাজ গৌড়বিজয়ে উন্মত্ত, ধ্রুব ধারাবর্ষ ও তৃতীয় গোবিন্দ গুর্জ্জর-দলনে ব্যাপৃত। প্রাচীন ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায় যে, ইহাই ধ্বংসোন্মুখ জাতির লক্ষণ। খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীর মধ্যভাগে কুষাণবংশীয় ষাহি উপাধিধারী শেষ রাজার মন্ত্রী প্রভুকে পদচ্যুত করিয়া কপিশার সিংহাসন অধিকার করিয়াছিলেন[১]। লল্লীয়, বাহ্লীক বিজিত হইলে কপিশায় অবস্থান অসম্ভব দেখিয়া সিন্ধুনদের পশ্চিম তীরবর্ত্তী উদভাণ্ডপুরে (বর্ত্তমান উণ্ড্) স্বীয় রাজধানী স্থানান্তরিত করিয়াছিলেন। ২৫৬ হিজিরাব্দে সিজিস্থানের অধিপতি ইয়াকুব লাইস্, গজনীপ্রদেশ অধিকার করিয়াছিলেন[২]। তুর্কিস্থানের সামানীবংশীয় রাজা ইসমাইল্, গজনী সামানী-রাজ্যভুক্ত করিয়াছিলেন। খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীর তৃতীয় পাদে সামানী-রাজ-সেনানায়ক আলপ্তিগীন্ প্রভুর ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হইয়া গজনীতে আসিয়া একটি স্বতন্ত্র রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন। আলপ্তিগীনের মৃত্যুর পরে তাঁহার তুরস্কজাতীয় ক্রীতদাস সবুক্তিগীন্ গজনীর সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। সবুক্তিগীন্ তাঁহার দশম রাজ্যাঙ্কে, ৯২৭ খৃষ্টাব্দে, উত্তরাপথের সিংহদ্বারে উপস্থিত হইয়াছিলেন। তখন ষাহি জয়পাল উদভাণ্ডপুরের সিংহাসনে আসীন। সবুক্তিগীন্
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৭৪
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫৪
বাঙ্গালার ইতিহাস।