বুদ্ধিষ্ট টেক্সট্ সোসাইটীর পত্রিকায় গৌড়েশ্বরের সহিত কর্ণদেবের যুদ্ধের বিবরণ প্রকাশিত হইয়াছে। “দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান যখন বজ্রাসনে, অর্থাৎ—মহাবোধিতে বাস করিতেছিলেন, সেই সময়ে মগধ-রাজ নয়পালের সহিত তীর্থিকধর্ম্মাবলম্বী কর্ণ্য-রাজের বিবাদ হইয়াছিল। কর্ণ্য-রাজ মগধ আক্রমণ করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি নগর অধিকার করিতে না পারিয়া কতকগুলি বৌদ্ধ বিহার মন্দিরাদি ধ্বংস করিয়াছিলেন। পরে নয়পালের সেনা জয়লাভ করিলে কর্ণ্য-রাজের সেনাগণ যখন নিহত হইতেছিল তখন শ্রীজ্ঞান তাহাদিগকে আশ্রয় প্রদান করিয়া রক্ষা করিয়াছিলেন। তাঁহার চেষ্টায় যুদ্ধ স্থগিত হইয়া সন্ধি স্থাপিত হইয়াছিল[১]।” তিব্বতীয় সাহিত্যের কর্ণ্য-রাজ যে চেদিরাজ কর্ণ, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই। শ্রীযুক্ত মনোমোহন চক্রবর্ত্তী সর্ব্বপ্রথমে এই মত প্রকাশ করিয়াছিলেন[২]। শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ তাহা সমর্থন করিয়াছেন[৩]; শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসুও এই মতাবলম্বী[৪]। নয়পালের সহিত কর্ণের সন্ধি স্থাপিত হইলে নয়পালের পুত্র বিগ্রহপালের সহিত কর্ণের কন্যা যৌবনশ্রীর বিবাহ হইয়াছিল।
নয়পালদেবের রাজ্যের দুইখানি শিলালিপি ও একখানি প্রাচীন গ্রন্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে। গয়ানগরে কৃষ্ণদ্বারিকা মন্দিরে আবিষ্কৃত একখানি শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, পরিতোষের পৌত্র, শূদ্রকের পুত্র, বিশ্বাদিত্য, নয়পালদেবের পঞ্চদশ রাজ্যাঙ্কে জনার্দ্দনের একটি মন্দির নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন[৫]। এই বিশ্বাদিত্য বা বিশ্বরূপ উক্ত