ও স্বর্গগত ডাক্তার হর্ণ্লি[১] আমার মত সমর্থন করিয়াছেন। শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু স্বীকার করেন যে, এই শ্লোকগুলিতে গোল আছে। “কিন্তু ঐ শকাঙ্ক দুইটি সম্বন্ধে কিছু বলিবার আছে, যদি ১০৯০ শকে বৃদ্ধ বল্লালসেন প্রিয়পুত্র লক্ষ্মণসেনকে সিংহাসনে অভিষিক্ত করিয়া থাকেন ও ‘অদ্ভুতসাগর’ অসম্পূর্ণ রাখিয়াই মৃত্যুমুখে পতিত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে ১০৯১ শকে আবার তাঁহাদ্বারাই ‘দানসাগর’ সম্পূর্ণ হইল কিরূপে[২]?” এই সমস্যার মীমাংসা করিবার জন্য বসুজ মহাশয়কে বলিতে হইয়াছে, “তাঁহার গুরুদেব অনিরুদ্ধভট্টই তাঁহার হইয়া ‘দানসাগর’ সমাধা করেন।” বলা বাহুল্য, প্রমাণাভাবে এই কথা স্বীকার করা উচিত নহে। বল্লালসেনের রাজত্বকালের একখানিমাত্র খোদিতলিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। ১৩১৭ বঙ্গাব্দে বর্দ্ধমান জেলার কাটোয়ার নিকটে, সীতাহাটী গ্রামে একখানি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছিল, ইহাই বল্লালসেনের তাম্রশাসন। এই তাম্রশাসন দ্বারা বল্লালসেনদেব তাঁহার একাদশ রাজ্যাঙ্কে রাজ-মাতা বিলাসদেবীর সূর্য্যগ্রহণোপলক্ষে হেমাশ্ব মহাদানের দক্ষিণাস্বরূপ বর্দ্ধমানভুক্তির অন্তঃপাতী উত্তর-রাঢ়ামণ্ডলে বাল্লহিট্টগ্রাম বরাহদেবশর্ম্মার প্রপৌত্র, ভদ্রেশ্বর দেবশর্ম্মার পৌত্র, লক্ষ্মীধর দেবশর্ম্মার পুত্র, ভরদ্বাজ গোত্রীয় সামবেদী কৌথুমশাখাচরণানুষ্ঠায়ী শ্রীশ্রীশ্রীবাসুদেবশর্ম্মাকে প্রদান করিয়াছিলেন[৩]। এই তাম্রশাসনখানি এক্ষণে কলিকাতার চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। বল্লালসেন ১১১৮ অথবা ১১১৯ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করিয়া-
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৩৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২২
বাঙ্গালার ইতিহাস।