পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

৷৶৹

লোচনায় প্রমাণাভাস সংগ্রহ ব্যতীত উপায়ান্তর নাই। নূতন আবিষ্কারের আলোকে প্রাচীন ইতিহাসের অন্ধকার দিন দিন দূরীভূত হইতেছে। মধ্যপ্রদেশে আবিষ্কৃত বাবিরুষীয় শিল, দ্রাবিড়জাতির উৎপত্তি সম্বন্ধে অধ্যাপক হলের মত ও প্রাচীন বাঙ্গালা সম্বন্ধে মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রমাণ সংগ্রহ, ভারতেতিহাসের একটি অশ্রুতপূর্ব্ব অধ্যায় সৃষ্টির কারণ হইয়াছে। নূতন আবিষ্কার না হইলে ইহার শেষ মীমাংসা হইবে না।

 শকাধিকারকালের ইতিহাস সম্বন্ধে উত্তরাপথের পশ্চিমাঞ্চলে বহু নিদর্শন আবিষ্কৃত হইলেও পূর্ব্বাঞ্চলে উল্লেখযোগ্য কোন উপাদান অদ্যাবধি সংগৃহীত হয় নাই। শকাধিকারকালের যে সমস্ত নিদর্শন পূর্ব্বাঞ্চলে আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার বিবরণ গ্রন্থমধ্যে সন্নিবিষ্ট হইল। গুপ্তাধিকারকালের যে সমস্ত প্রাচীন মুদ্রা অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার বিস্তৃত বিবরণ সংগৃহীত হইয়া চতুর্থ অধ্যায়ে সংযুক্ত হইল। ইতিপূর্ব্বে গৌড়-ৰঙ্গে গুপ্তাধিকারকালের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয় নাই।

 মগধের গুপ্ত-রাজবংশের অধঃপতনের সহিত উত্তরাপথে মাগধ-প্রাধান্যের লোপ হইয়াছিল। এই সময় হইতে আর্য্যাবর্ত্তের ইতিহাসে গৌড়-বঙ্গের প্রাধান্যের সূচনা দেখিতে পাওয়া যায়। পঞ্চম পরিচ্ছেদে গুপ্ত-রাজবংশের অধঃপতনের কাহিনী, ষষ্ঠ পরিচ্ছেদে রাজশক্তির অভাবে গৌড় বঙ্গ-মগধে অরাজকতা ও সপ্তম পরিচ্ছেদে পাল-রাজবংশের অভ্যুদয় বর্ণিত হইয়াছে। নবপ্রতিষ্ঠিত পাল-বংশের সাম্রাজ্য মরুবাসী দুর্দ্ধর্ষ গুর্জ্জরজাতির আক্রমণে কিরূপ দুর্দ্দশাগ্রস্ত হইয়া ছিল অষ্টম পরিচ্ছেদে তাহাই বর্ণিত হইয়াছে। প্রথম মহীপালদেবের যত্নে খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীর শেষভাগে দ্বিতীয় পাল-সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, কিন্তু রাজেন্দ্রচোল, চালুক্যবংশীয় জয়সিংহ ও চেদিবংশীয় গাঙ্গেয়দেবের