পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ لاه لا আলা-উদ্দীন হোসেন শাহের রাজ্যকালের বহু শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে । বন্ধুবর স্ত্রীযুক্ত গুরুদাস সরকার, এম-এ মহাশয় হোসেন শাহ সম্বন্ধে মুর্শদাবাদ জেলায় প্রচলিত যে সমস্ত জনপ্রবাদ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তদনুসারে হোসেন শাহ বাল্যকালে চাদপাড়া নিবাসী এক ব্রাহ্মণের গৃহে গো-রক্ষা কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন । রাজ্যলাভ করিয়া হোসেন শাহ পুরাতন প্রভুকে এক আনা রাজস্বে চাদপাড়া-গ্রাম প্রদান করিয়াছিলেন, তদবধি এই গ্রাম এক আনা চাদপাড়া নামে প্রসিদ্ধ । কথিত আছে যে, হোসেন শাহের বেগম, পতির পুরাতন প্রভুকে গোমাংস ভক্ষণ করিতে বাধ্য করিয়াছিলেন ; সেইজন্য ব্রাহ্মণ পরে বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন । রিয়াজ-উস-সালাতীন অনুসারে হোসেন শাহ চাঁদপাড়া গ্রামে যে কাজীর আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন, তিনি তাহার বংশ-পরিচয় অবগত হইয়া হোসেনের সহিত কন্যার বিবাহ দিয়াছিলেন । ইহার পরে হোসেন গৌড়ে মজঃফর শাহের অধীনে কৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া ক্রমে উজীর নিযুক্ত হইয়াছিলেন । । রিয়াজ-উস-সালাতন অনুসারে আলা-উদ্দীন হোসেন শাহ সিংহাসন লাভ করিয়া নিজ সেনাদলকে গৌড়নগর লুণ্ঠন করিতে নিষেধ করিয়াছিলেন । লুণ্ঠন নিবারিত না হওয়ায়, তাহার আদেশে দ্বাদশ সহস্ৰ সৈন্যের প্রাণদণ্ড হইয়াছিল । আলা-উদ্দীন হোসেন শাহের আদেশে প্রাসাদরক্ষক পদাতিক সেনাদল কৰ্ম্মচ্যুত হইয়াছিল এবং বিশ্বাসঘাতক হাবশী ক্রীতদাসগণ গৌড়রাজ্য হইতে নিৰ্ব্বাসিত হইয়াছিল । সৈয়দুবংশীয় এবং মোগল ও আফগানজাতীয় মুসলমানগণ গৌড়ের প্রধান প্রধান রাজপদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন”। বল্লুবংশীয় দক্ষিণ রাঢ়ীয় কায়স্থ পুরন্দর র্থ, হোসেন শাহের উজীর ছিলেন । রূপ ও সনাতন নামক ভ্রাতৃদ্বয় হোসেন, শাহের অধীনে উচ্চ রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন। হোসেন শাহ সনাতনকে দবীর খাস (Private Secretary) নিযুক্ত করিয়াছিলেন এবং রূপকে সাকরমল্লিক উপাধিদানে সন্মানিত করিয়াছিলেন । । রূপ ও সনাতন যশোহর জেলায় ফতেহাবাদ নামক স্থানের অধিবাসী ছিলেন । (so Journal and Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, New Series, Vol. XIII. (৪৮) রিয়াজ-উস-সালাতীন, ইংরাজি অম্বুষা, পৃঃ ১৩১-৩২ । (ss) cर्भाrछब्र रेडिहांग, विठौद्र पं७, श्रृंः >०s I