পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ 公°象 “যখন দ্বও (রাজশক্তি) অগ্রণীত থাকে তখন মাংস্তায়ের প্রভাব হয়, উপযুক্ত দণ্ডধরের অভাবে প্রবল দুৰ্ব্বলকে গ্রাস করিয়া থাকে। সেই কারণেই গুপ্তগণের প্রভাবের উৎপত্তি হইয়াছে।" গুপ্ত শব্দের অর্থ লইয়৷ মতভেদ আছে ; কেহ বলেন গুপ্ত অর্থে প্রচ্ছন্ন, কাহারও মতে ইহার অর্থ রক্ষিত অর্থাৎ, সহায়সম্পন্ন, কেহ কেহ বলেন গুপ্ত শবে চন্দ্রগুপ্তের নাম করা হইয়াছে। অর্থশাস্ত্রের প্রমাণের উপর নির্ভর করিয়া মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলিয়াছেন, *মাংশুষ্ঠায়মপোহিত্যুং” শব্দের অর্থ “অন্তরাজ্যভুক্ত হইবার আশঙ্কা দূর করিবার জন্য অথবা মংস্তের ন্যায় ( অপর মৎস্তের ) উদরগ্রস্ত হইবার ভয় দূর করিবার জগু** ” পণ্ডিতপ্রবর শ্রীযুক্ত কাশীপ্রসাদ জায়দবাল অনুমান করেন যে, মকুসংহিতার সপ্তম অধ্যায়ে -"মাৎস্তস্তায়ের” প্রচ্ছন্ন উল্লেখ আছে২৬ । উদাসীন রঘুনাথ বৰ্ম্ম বিরচিত "লৌকিক স্বায় সংগ্রহ” নামক গ্রন্থে ‘মৎস্তষ্ঠায়ের পূর্ববৎ BBBB BBB BBBBS BBBB BBBB BBBS BBBBS BBB তাহার “ভারতবর্ষীয় ভাষ” নামক গ্রন্থে একটি শ্লোক উল্লেখ করিয়াছিলেন ২৮ । মগধের গুপ্তরাজবংশীয় সম্রাট দ্বিতীয় জীবিতগুপ্তের মৃত্যুর পরে, গৌড়মগধ-বঙ্গে যে ‘মাংশুন্যায়’ বা অরাজকতা উপস্থিত হইয়াছিল, সে বিষয়ে কোনই (R4) Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, vol. III, p. 3. ঐযুক্তজক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, শাস্ত্রী মহাশয়ের ব্যাখ্যা সম্বন্ধে বিদ্রুপ করিয়া লিখিয়াছেন, মাংশুন্যায়ের ব্যাখ্যা করিতে গিয়া “রামচরিত্তের” ভূমিকায় মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতবর শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এম-এ, লিথিয়াছেন—*to escape from being absorbed into another kingdom or to avoid being swallowed up like a fish,” colonial, * : *, *trol {२७) যদি ন প্রণয়েদ্রাজ্য দগুং দণ্ডেধতঙ্গিতঃ । শূলে মৎস্তানিবাপক্ষান দুৰ্ব্বলান বলবত্তরাঃ ॥ --মন্থসংহিতা, সপ্তম অধ্যায়, ২• শ্লোক । (২৭) “প্রবল-নির্বল-বিরোধে সবলেন নির্বল-বাধবিবক্ষয়াং তু মাৎস্তন্যায়বতার। অয়ং প্রায় ইতিহাস-পুরাণাদিৰ দপ্ততে, বখাছি বশিষ্ঠে প্ৰহলাদাখ্যানে তৎসমাধিং প্রস্তুতোবভক্স– এতাবতীর্থ কালেন তন্ত্রপাতল-মণ্ডলং । বভুবারাজকং তীক্ষং মাংস্তন্যায়-কদৰ্থিতম্ ॥ যথা—প্রবল মৎস্ত নিৰ্ব্বলাং স্তান্নাশয়ঙ্কিম্মেতি ন্যায়ার্থ ।” o —গৌড়লেমালা পৃঃ ১৯, পাদটীকা (૨૪) *পরম্পরামিষতয়া জগতে ভিন্নবর্তমঃ। দওীভাবে পরিধ্বংসী মাৎস্তে ন্যায়ঃ প্রবর্ততে ” -Bohtlingk's Indische Spruche, second part,