পাতা:বাঙ্গালার জমিদার - বামাচরণ মজুমদার.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বাঙ্গলার জমিদার ।
১৩

এখন এই ঘৃণিত পর্য্যায়ে উপস্থিত হইয়াছেন। অনুচর, কর্ম্মচারীদিগের, জমিদারের অন্যায় কার্য্যের প্রতিবাদ করিবার ক্ষমতার আদৌ অভাব ঘটিয়াছে; কাজেই কোন ষ্টেটের উন্নতি পরিলক্ষিত হইতেছে না। বিবেচনা ও উপযুক্ত নির্ব্বাচন অভাব ইহার অন্যতম কারণ বলিলে দোষ হয় না। শ্রেষ্ঠ পদাভিষিক্ত কর্ম্মচারীগণকেও সামান্য স্বার্থহানীর আশঙ্কায় নিতান্ত অসঙ্গত কার্য্য সকলকে এখন অম্লান বদনে অনুমোদন করিতে দেখা যায়; ইহা নিতান্ত লজ্জাকর ব্যাপার। বল লজ্জাকর কেন,—যারপর নাই ঘৃণার কথা। এই সকল শুভানুধ্যায়ীপুরুষগণ জমিদারদিগের ব্রণ-স্বরূপ হইয়া রহিয়াছেন। একটু চেষ্টা করিলেই চক্ষুষ্মান্ ব্যক্তিগণ ইহা স্পষ্ট দেখিতে পাইবেন। অতঃপর যাহাতে কোন প্রকার অন্যায় অসঙ্গত কার্য্য ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য অযথা অনুমোদিত না হয়, জমিদারগণের তাহা বিবেচনা করিয়া লইবার আবশ্যক হইয়াছে। সময় থাকিতে চেষ্টা না করিলে অদূর ভবিষ্যতে তাঁহাদেরই ক্ষতির সম্ভাবনা অধিক।

 অন্যায় এবং ভ্রান্তি বুঝাইয়া দেখাইয়া দেওয়াই বন্ধু, আত্মীয় এবং কর্ম্মচারীদিগের কর্ত্তব্য। না বুঝাইয়া দিলে মানুষ স্বকৃত ভ্রম সহজে বুঝিতে পারে না; আর এই ভুল-ভ্রান্তি, বুঝিতে ও দেখিতে না পারিয়াই বঙ্গের জমিদারগণ ক্রমাগত একটার পর আর একটা, তাহার পর আবার নূতন একটা ভুল করিয়া বসিতেছেন; ফলে তাহাতে ষ্টেট সকলের সমূহ ক্ষতি হইতেছে; —সঙ্গে সঙ্গে দেশেরও সর্ব্বনাশ ঘটিতেছে। স্বীয় আভিজাত্য,