পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እክ” বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য । কিন্তু তাহা আমি কখন শুনি নাই ; অতএব তাহা কিরূপ, বলিতে পারি না । এক্ষণে আমরা একটি ধৰ্ম্মসঙ্গীত-রচয়িত সাধুপুরুষের নিকট আগমন করিতেছি । তঁহার গীতগুলি অতি সহজ ভাষায় রচিত এবং বঙ্গদেশে সৰ্ব্বস্থানে পরমার্থসাধক বলিয়া অত্যন্ত ভক্তির সহিত গীত হইয়া থাকে। তঁহার নাম কবিরঞ্জন রামপ্ৰসাদ সেন । যখন কলিকাতায় রাত্ৰিতে রাতভিখারীদিগের মুখে তঁহার রচিত “গান শ্রবণ করা যায়, তখন চিত্তের অত্যন্ত ঔদাস্য জন্মে এবং সেই সকল গান মনকে পৃথিবীর এত উপরে লইয়া যায় যে, তাহা বলা যায় না। রামপ্রসাদ সেন কুমারহট্ট গ্রামে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সময়ে বিদ্যমান ছিলেন । রাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰ ভঁাহাকে কবিরঞ্জন উপাধি প্ৰদান করেন । রামপ্ৰসাদ সেন ধৰ্ম্মসঙ্গীত ব্যতীত কালী-সংকীৰ্ত্তন ও কবিরঞ্জন-বিদ্যাসুন্দর নামক কবিতাদ্বয় রচনা করিয়াছিলেন, কিন্তু তঁহার রচিত সঙ্গীতের ন্যায় তাহা তত প্ৰসিদ্ধ নহে । এই সময়ে সুবিখ্যাত কবি রায় গুণাকর ভারতচন্দ্ৰ বিদ্যমান ছিলেন । ইনি বৰ্দ্ধমান জেলার ভুরসুট পরগণার পেঁড়ো গ্রামে জন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰ রায়ের সভাসদ ছিলেন। ইনি জীবনের শেষভাগে মূলাজোড় গ্রামে বাস করিয়াছিলেন। তথায় তাহার বংশাবলী অদ্যাপি বিদ্যমান আছে । ভারতচন্দ্ৰ। ১৬৭৪ শিকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰ রায়ের আদেশে বিরচিত। অন্নদামঙ্গল গ্রন্থের রচনা সমাপ্ত (:- ས་ཁམས་ཁམས་ཁམས་མ་ལས་