পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s दक्षिiवा उायु ७ अष्ट्रिङ । সহিত আমার অত্যন্ত বন্ধুতা ছিল । তিনি কলেজে আমার সমাধ্যায়ী ছিলেন। যখন আমি মেদিনীপুরে ছিলাম, তখন তঁহার সহিত আমার সর্বদা পত্র লেখা হইত ; সেই সকল পত্র আমার নিকট আছে; তাহা অতীব কৌতুহলজনক। যখন আমি ঐ স্থানে ছিলাম, তখন মাইকেল মধুসূদন মেঘনাদবধ কাব্য ছাপাইবার পূর্বে তাহার প্রথম দুই সৰ্গ আমার অভিপ্ৰায় জানিবার জন্য তথায় প্রেরণ করিয়াছিলেন । আমি তাহার অত্যন্ত প্ৰশংসা করিয়া যেখানে যেখানে দোষ অনুভব করিয়াছিলাম, তাহাও তাহাকে লিখিয়াছিলাম । এতদ্ব্যতীত তিনি আমাকে “ইণ্ডিয়ান ফিল্ড” সংবাদপত্রে তাহার তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য সমালোচনা করিতে অনুরোধ করেন । তাহার প্রার্থনামতে আমি ঐ কাব্য উক্ত পত্রে সমালোচনা করিয়াছিলাম। তঁহার সহিত আমার বিশেষ বন্ধুতা ছিল, কিন্তু কোন ব্যক্তির দোষগুণ বিচারের সময় বন্ধুতাভাবের দ্বারা মনকে বশীভুত হইতে দেওয়া উচিত নহে। আমরা যেমন বলিয়া থাকি, এ লোকটা দোষে গুণে, মাইকেল মধুসূদনও তেমনি দোষে গুণে কবি। প্ৰত্যেক কবিরই দোষ ও গুণ আছে, কিন্তু “দোষে গুণে কবি।” এই প্ৰয়োগের অর্থ এই যে, যেমন তঁহার অসামান্য গুণ আছে, তেমনি অসামান্য দোষও আছে। ভাবের উচ্চতা, বর্ণনার সৌন্দৰ্য্য, করুণারুসের উদ্দীপনা, ভঁাহার এই সকল গুণ যখনবিবেচনা করা যায়, তখন তাঁহাকে বঙ্গভাষার সর্বপ্ৰধান কবি বলিয়া বোধ হয়, কিন্তু যখন তঁহার দোষ বিবেচনা করা যায়, তখন তাহাকে ঐ উচ্চ আসন প্ৰদান করিতে মন