পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - প্রথম ভাগ.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4 হয়। অশোক রাজার রাজত্বকালে ঐ গাথা নায়ী ভাষা পালী নামে প্রখ্যাত হয়। এই পালী ভাষায় বৌদ্ধদিগের ধৰ্ম্মপুস্তকাদি লিখিত হইয়াছিল ; তন্নিমিত্ত সিংহল দ্বীপে অদ্যপি ইছার আলোচনা হুইয়া থাকে। যৎকালে কবীন্দ্র কালিদাস উজ্জয়িনী রাজের সভায় থাকিয়া নিরুপম কণবানিচয় রচনা দ্বারা নিৰ্ম্মল যশোরীশি লাভ করেন, তখন ভারতবর্ষে প্রাকৃত, মাগধী, শৌরসেনী, পৈশাচী, মহারাষ্ট্ৰীয় প্রভৃতি অনু্যন দ্বাদশটা ভিন্ন ভিন্ন ভাষা প্রচলিত ছিল। ঐ সমস্ত ভাষার পরিণামে পঞ্জাবী, ছিদি,মৈথিলী, বাঙ্গাল, উৎকল, তৈলঙ্গী, কর্ণাটী, দ্রাবিড়ী, মহারাষ্ট্ৰীয়, গুর্জর প্রভৃতি ভারতবর্ষ প্রচলিত অধুনাতন ভাষাসমূহের উৎপত্তি হয়। অনেকে তামুমান করেন, প্রাকৃত ও মাগধী ভাষার পরিণামে, ছিন্দিভাষা উৎপন্ন হয় এবং ছিন্দির কিঞ্চিৎ রূপান্তর বশতঃ বাঙ্গালার সৃষ্টি হয় । বাস্তবিকও বাঙ্গালা ভাষার সর্বপ্রাচীন রচনাবলী পাঠ করিলে সকলেরই এরূপ প্রতীতি ছয়, যে পাঁচ ছয় শত বৎসর পূৰ্ব্বে হিন্দির সহিত বাঙ্গালার বিলক্ষণ সংস্রব ছিল ।