পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - প্রথম ভাগ.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ు পরিবারের প্রতি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের বিলক্ষণ বিদ্বেষ ছিল এবং ভারতচন্দ্রের হৃদয়েও বৰ্দ্ধমানের কারাবাসাদি ক্লেশ জনিত দারুণ রোষানল প্রজ্বলিত ছিল । সুতরাং তিনি মহোল্লাস সহকারে বর্ধমান রাজবংশের গ্লানি সুচক ইতিহাস লইয়া বিদ্যামুন্দর মহাকাব্য রচনা করিয়া কৌশলক্রমে উছা অন্নদামঙ্গলের মধ্যে সন্নিবেশিস্ত করিয়া দিলেন। তৎপরে মানসিংহ, রসমঞ্জরী, নাগষ্টক এবং অন্যান্য কতক গুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাব্য রচনা করেন। অনন্তর মহারাজ মুলাযোড় গ্রামে তাছার নিমিত্ত যে বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন তথায় জীবনের শেষ ভাগ অতিবাহিত করিয়া ১৩৮২ শালে ৪৮ বৎসর বয়ক্রম কালে পরলোক গমন করেন। অনেকেই বলেন ভারতচন্দ্র বাঙ্গভাষার মর্বপ্রধান কবি। কিন্তু র্যাহারী কবিকঙ্কণ প্রণীত চণ্ডীকাব্য পাঠ করিয়াছেন তাহার একথা কখনই স্বীকার করিবেন না } ভারতচন্দ্রের যেরূপ রচনা শক্তি ছিল, আক্ষেপের বিষয়, তাদৃশ কপেন শক্তি ছিল না। তিনি চণ্ডীকে আদর্শ করিয়া স্কন্নদামঙ্গল প্রণয়ণ করেন । কবিবঙ্কণের ন্যায়ু