পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৭
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

এই বাহিনীর অন্তর্ভূক্ত ছিল এবং সকলের পশ্চাতে কর্ণেল গুরুবক্স সিং ধীলনের নেতৃত্বে তিনহাজার সৈন্য লইয়া গঠিত “নেহেরু ব্রিগেড” এই বাহিনীর অনুগমন করিয়াছিল। সেনাপতি কর্ণেল ভোঁসলা, মেজর জেনারেল শাহ-নওয়াজ, লেঃ কর্ণেল সেহগল, মেজর ধীলন, ক্যাপ্‌টেন কীয়াণী ও লেঃ কর্ণেল লক্ষ্মী স্বামীনাথনের উপরে এই যুদ্ধ পরিচালনা করিবার ভার দেওয়া হইয়াছিল। এই সৈন্যগণ স্থির করিয়াছিল তাহারা একে একে মণিপুর আসাম এবং চট্টগ্রাম ব্রিটিশ অধিকার হইতে মুক্ত করিবে এবং অনতিবিলম্বে অস্থায়ী স্বাধীন গভর্নমেণ্টের প্রধান কেন্দ্র ব্রহ্মদেশ হইতে ভারতের এই অংশে স্থানান্তরিত করা হইবে।

 ‘ইনফল’ ও ‘কোহিমা’ দুই স্থান লক্ষ্য করিয়া একেবারে দুইটি অভিযান বাহির হইয়াছিল। ইনফল অভিযানের ভার ‘সুভাষ ব্রিগেড’ এবং ‘গান্ধী ব্রিগেডে’র উপরে পতিত হইয়াছিল। ‘সুভাষ 'ব্রিগেডের’ অধিনায়ক মেজর জেনারেল শাহ-নওয়াজ জাপানীদের দ্বারা গঠিত কয়েক দল সৈন্য সহ শত্রুপক্ষের উপরে আক্রমণ আরম্ভ করেন। শত্রুপক্ষের সহিত প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়— উভয় পক্ষের বহু সৈন্য ক্ষয় হয়। ভারতীয়দের ক্ষতিই হয় অধিক। সেনা নায়ক শাহ-নওয়াজ মণিপুরের মাটীতে প্রথম ভারতের জাতীয় পতাকা উড্ডীন করিয়াছিলেন।

 যুদ্ধে আহত সৈন্যগণের সেবা শুশ্রুষার ভার ঝাঁসীর রাণী বাহিনীর নারী সেনাদের উপর ন্যস্ত হইয়াছিল।

 ১৮ই মার্চ্চ হইতে ৫ই এপ্রেলের মধ্যে ভারতীয় সেনা বাহিনী