পাতা:বামারচনাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ সংস্করণ । রথ রাজার শত শত বনিতা ছিল, ইহা শুনিলে আপাততঃ উপন্যাস বোধ হয়। আমাদের দেশীয় ছিন্দ্র রাজা মহাশয়গণ বহুবিবাহ করিয়া যে কত অনিষ্ট উৎপাদন করিয়া গিয়াছেন তাহ মুখে বলিবার নছে। রাজপদে অভিষিক্ত হইয়া রাজা মনে করিতেন যে যত বিবাহ করিতে পারিব ততই রাজ্যের এবং আপনার মান বৃদ্ধি হইবে । কিন্তু ইহাতে যে র্তাহাদের মান বৃদ্ধি না হইয়া কেবল পাপ বৃদ্ধি হইত তাহা তাহারা ভ্ৰমেও বিবেচনা করিতেন না। প্রণয়রূপ অমূল্য রত্ন এক স্ত্রীকে প্রদান করিলে পতি ও পত্নীর অনুরাগ পরস্পরের প্রতি দৃঢ়ৰূপে বদ্ধ হয়। বহুভাৰ্য্যাকে ভাহা বিভাগ করিয়া দিলে কেহই তাহতে সম্পর্ণরূপে অধিকারিণী হইতে পারে না এবং সকলেই যৎপরোনাস্তি মনের কষ্ট ভোগ করিয়া থাকে। আবার স্বামী যদি এক স্ত্রীকেই অধিক ভাল বাসেন, তবে তো অন্য স্ত্রীর মনঃপীড়ার পরিসীমা থাকে না । এক এক স্থানে এমন দৃষ্টান্ত দেখিতে পাওয়া যায় যে এক স্ত্রীকে অধিক ভাল বাসাতে অন্য স্ত্রীর গর্ভে যে সন্তান হয় সে সন্তানকে সন্তান বলিয়া কিছুমাত্র স্নেহ থাকে না। কি আশ্চৰ্য্য! বহুবিবাহ করিয়া পুৰুষদিগের অপত্যস্নেহ লোপ হইয়া যায়। ইহাতে সন্তা